৩ ঘণ্টায়ও রোগী পেলেন না চিকিৎসক
অর্থের বিনিময়ে ভোলা জেনারেল হাসপাতালেও শুরু হয়েছে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) উদ্বোধনী দিন রোগী দেখার দায়িত্ব পান কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট ডা. মেহেদী হাসান বিপ্লব ও ডা. শিবলী সাদিক আলভি। এদের মধ্যে ডা. মেহেদী হাসান বিপ্লবের ফি নির্ধারণ হয়েছে ৩০০ টাকা ও ডা. শিবলী সাদিক আলভির ২০০ টাকা। উদ্বোধনের পর থেকেই তারা চেম্বারে বসেন। কিন্তু রোগী না আসায় অলস সময় পার করেন দুজনই।
ডা. মেহেদী হাসান বিপ্লব বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী উদ্বোধনের পর বৈকালিক চেম্বারে বসি। সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বসে থাকলেও আজ কোনো রোগী না আসায় দেখতে পারিনি। তবে আগামী কর্ম দিবসে রোগী আসবেন বলে আশা করছি।
এদিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর স্বজন মো. সামছুল হক ও জান্নাত বেগম জানান, তারা ভোলা পৌর শহরের প্রাইভেট ক্লিনিকে ৭০০ টাকা খরচ করে রোগী দেখিয়ে এসেছেন। সেখানকার ডাক্তারের পরামর্শে তারা রোগীকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। তবে স্বল্প ফিতে ডাক্তার দেখানো যায় তা জানতেন না দুজনই। বিষয়টি জানলে তারা বেশি টাকা খরচ করে প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতেন না।’
ভোলা সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিনে আমরা দুজন চিকিৎসক দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামী কর্ম দিবসে আরও বেশি সংখ্যক চিকিৎসক রোগী দেখবেন। তবে প্রথম দিন কোনো রোগী আসেনি। আগামী কর্ম দিবসে প্রচারণা চালাবো। তাহলে রোগীর পরিমাণও বাড়বে।
এর আগে বিকেল ৩টায় বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন- সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আছাদুজ্জামান।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এসজে/জেআইএম