গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তামান্নাকে হত্যা করেন পরকীয়া প্রেমিক

হুমায়ুন ও গৃহবধূ তামান্না দুজনই বিবাহিত। দেখা-সাক্ষাতের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একসঙ্গে সময় কাটাতে তামান্নাকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে কিশোরগঞ্জের নিকলী সদরে হাওর প্যারাডাইস নামে আবাসিক হোটেলে ওঠেন হুমায়ুন। সেখানে তামান্নাকে ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন হুমায়ুন।
হুমায়ুন কটিয়াদী উপজেলার চারিপাড়া গ্রামের কাঞ্চন মিয়ার ছেলে। নিহত তামান্না কুলিয়ারচর উপজেলার পশ্চিম জগন্নাথপুর গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার মেয়ে।
আরও পড়ুন: আবাসিক হোটেলে তরুণীর মৃত্যু, যুবক আটক
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হুমায়ুন বাজিতপুরের পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ডে একটি মিষ্টির দোকানে চাকরি করতেন। আর তামান্না পার্শ্ববর্তী উপজেলা কুলিয়ারচরের পশ্চিম জগৎচর গ্রামের অহিদ মিয়ার মেয়ে। কোনো এক সময় দেখা-সাক্ষাতের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হুমায়ুন তার স্ত্রীর কাছে মেলায় যাওয়ার কথা বলে তামান্নাকে নিয়ে ২৫ মার্চ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে নিকলী সদরের শিমুল কমপ্লেক্স ভবনের একাংশ হাওর প্যারাডাইস নামে আবাসিক হোটেলের ৬০৯ নম্বর কক্ষে ওঠেন। ২৯ মার্চ বেলা ১১টার দিকে হোটেলকর্মী শায়লা আক্তার ও হুমায়ুন গৃহবধূ তামান্নাকে মুমূর্ষু অবস্থায় নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালের নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হুমায়ুনকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পুলিশ হুমায়ুনকে গ্রেফতার করে। তামান্নার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ বলেন, এ ঘটনায় তামান্নার বাবা বাদী হয়ে হুমায়ুনকে আসামি করে নিকলী থানায় হত্যা মামলা করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে হুমায়ুনকে আদালতে তোলা হলে তিনি বিচারকের কাছে তামান্নাকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এসজে/এএসএম