দুই ভবনের মাঝে আটকে ছিল বিড়ালের বাচ্চা, ফায়ার সার্ভিস ডেকে উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ০৫:৫০ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০২৩

বরগুনায় দুই ভবনের মধ্যে আটকে থাকা মৃতপ্রায় দুটি বিড়ালের বাচ্চা উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। বাচ্চা দুটি বরগুনা পৌরশহরের কলেজ রোড এলাকায় বায়ান মঞ্জিল এবং পাশের একটি ভবনের দোতলার মধ্যে তিন ইঞ্চি জায়গায় দুদিন ধরে আটকে ছিল।

রোববার ( ৯ এপ্রিল) সকালে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্যের ছেলে অ্যাডভোকেট সুনাম দেবনাথ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় বাচ্চা দুটি জীবিত উদ্ধার করেন।

স্থানীয়দের ধারণা, ভবনের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে বাচ্চা দুটি আটকে ছিল।

দুই ভবনের মাঝে আটকে ছিল বিড়ালের বাচ্চা, ফায়ার সার্ভিস ডেকে উদ্ধার

স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, বায়ান মঞ্জিল নামের ওই ভবনের মালিক ফজলুর রহমান মোস্তফার পরিবার দোতলার একটি রুমের দেওয়ালের মধ্য থেকে বিড়ালের বাচ্চার ডাকাডাকির শব্দ শুনতে পান। প্রথমে তেমন গুরুত্ব দেননি। একদিন অতিবাহিত হলেও বাচ্চা দুটির ডাকাডাকির শব্দ শুনে আটকে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় তারা। তারা বরগুনার পেট লাভার্স নামের একটি সংগঠনকে বিষয়টি জানান। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ওই রুমের দেওয়াল কেটে বাচ্চা দুটি উদ্ধার করেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাগর কর্মকার নামের একজন জগো নিউজকে বলেন, ‘এটি একটি মানবিক কাজ। যারা এ কাজে অংশ নিয়েছেন এবং যারা সহযোগিতা করেছেন সবাই প্রশংসার দাবিদার।’

দুই ভবনের মাঝে আটকে ছিল বিড়ালের বাচ্চা, ফায়ার সার্ভিস ডেকে উদ্ধার

অ্যাডভোকেট সুনাম দেবনাথ জাগো নিউজকে বলেন, ‘সকালে ফেসবুক পোস্ট দেখে ঘটনাস্থলে এসে দেখি দুই ভবনের মাঝখানে মাত্র তিন ইঞ্চির মতো জায়গা ফাঁকা রয়েছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে সেখান থেকে কোনোভাবেই বাচ্চা দুটি উদ্ধার করা সম্ভব নয়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে উদ্ধার করেন।’

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযানের টিম লিডার রুহুল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, ড্রিল মেশিন দিয়ে ঘরের দেওয়াল কেটে বিড়ালের বাচ্চা দুটি জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দেওয়াল কাটতে বাড়ির মালিকের কোনো বাধা না থাকায় উদ্ধারকাজ অনেক সহজ এবং দ্রুত হয়েছে বলে জানান তিনি।

এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।