বরগুনায় ছাত্রলীগের পাঁচ ইউনিটে নতুন কমিটি
বরগুনায় ছাত্রলীগের পাঁচ ইউনিটের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে একটি উপজেলা, একটি পৌরসভা, দুটি কলেজ ও একটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। একই দিনে সাংগঠনিক নির্দেশনা অমান্য করায় আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৯ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান স্বাক্ষরিত আলাদা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই কমিটিগুলো ঘোষণা করা হয়।
ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, জেলার বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের ২৬ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য এ কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটিতে মো. হাসিবুর রহমানকে সভাপতি ও মো. হাসানুজ্জামান সেতুকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আংশিক কমিটিতে ১১ জন সহ-সভাপতি, ৭ জন যুগ্ম-সম্পাদক ও ৬ জন সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।
আরও পড়ুন: ইয়াবাসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার, হারালেন পদও
বেতাগী পৌর ছাত্রলীগের তাইফুল ইসলামকে সভাপতি ও মো. নাদিম হাওলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এ কমিটিতে চারজন সহ-সভাপতি, দুজন যুগ্ম-সম্পাদক ও দুজন সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
বেতাগী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। সেখানে টুটুল রায়কে সভাপতি ও মেহেদী হাসান মুসাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এ কমিটিতে তিনজন সহ-সভাপতি, দুজন যুগ্ম-সম্পাদক ও দুজন সাংগঠনিক সম্পাদক রাখা হয়েছে।

একই দিনে বামনা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে হৃদয় দাসকে সভাপতি ও মহিবুর রহমান মুহিবকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটির মেয়াদ থাকবে আগামী এক বছর।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের ২১ নেতাকর্মী বহিষ্কার, ঢাবির এক নেতাকে অব্যাহতি
বামনা সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পূর্বের কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে আগামী এক বছরের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিতে মো. হাসিব মুন্সিকে সভাপতি ও হৃদয় শর্মাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের জরুরি সভায় সাংগঠনিক নির্দেশনা অমান্য করায় আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মাহবুবুল ইসলামকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের ১ নম্বর সহ-সভাপতি মো. মতিন খানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অব্যাহতি পাওয়া আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, আমার জানা মতে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত নই। আমি জেলা ছাত্রলীগকে অনুরোধ করবো আমার বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত পুনরায় তদন্ত করা হোক।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা নতুন কমিটি দিয়েছি। আশা করি নতুন কমিটির নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র মেনে সামনের দিকে অগ্রসর হবে।
তিনি আরও বলেন, ঘোষিত কমিটির মধ্যে কারো বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র ও সাংগঠনিক বিরোধী কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
আরএইচ/এমএস