জর্দা খেয়ে লঞ্চ থেকে পড়ে নিখোঁজ নারী, ১০ ঘণ্টা পর উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ০৪ মে ২০২৩

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে লঞ্চ থেকে পড়ে নিখোঁজের ১০ ঘণ্টা পর জহুরা বেগম নামের এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (৩ মে) রাত ১১টার সময় গোসাইরহাট মিত্রসেন পট্টির লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চে করে ঢাকা যাওয়ার পথে পানিতে পড়ে তিনি নিখোঁজ হন। বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কোদালপুর ইউনিয়নের ঠান্ডা বাজার এলাকায় তাকে জীবিত উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।

আহত জহুরার বাড়ি উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নের বসকাঠী গ্রামে।

আহত জহুরার স্বামী জহিরুল মৃধা জানান, তারা এমভি ঈগল-৩ লঞ্চে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। তারা লঞ্চটির দোতলার ২০২ নম্বর কেবিনে ওঠেন। এর কিছুক্ষণ পর পান-সুপারির সঙ্গে জর্দা খাওয়ায় মাথা ঘুরছে বলে জানান তার স্ত্রী। পরে পানি পান করতে চাইলে বোতলে থাকা পানি দেন তার স্বামী। পানি কুলি করে ফেলতে গিয়ে মাথা ঘুরিয়ে হঠাৎ নদীতে পড়ে যায় জহুরা বেগম। তাৎক্ষণিকভাবে তার স্বামী জহিরুল বিষয়টি চালককে জানান। তারা লঞ্চটি থামিয়ে দুই ঘণ্টা খোঁজাখুঁজি করেন। তবে না পেয়ে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

এসময় জহিরুল পানিতে ঝাঁপ দিয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে খুঁজে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। এ ঘটনার জন্য দায়ী করে স্থানীয় জনতা ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এসে মারধর করেন জহিরুলকে। তাদের অভিযোগ, তিনি ধাক্কা দিয়ে জহুরা বেগমকে পানিতে ফেলে দিয়েছেন। আজ বেলা ১১টার দিকে তাকে আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।

লঞ্চের কেবিন বয় মো. বিল্লাল বলেন, একজন যাত্রী পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে লঞ্চটি অনেকক্ষণ সেখানে নোঙর করে রেখে খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু নিখোঁজের সন্ধান না পেয়ে তারা যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। তবে ঘটনাস্থলে লঞ্চের লোক রেখে যাই আমরা।

গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম সিকদার বলেন, উদ্ধারের পর আহত নারীকে গোসাইরহাট সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।

এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।