ঘূর্ণিঝড় মোখা

কুয়াকাটা সৈকত থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
প্রকাশিত: ১২:২৫ এএম, ১৩ মে ২০২৩
মাইকিং করে পর্যটকদের সৈকত থেকে নিরাপদ দূরত্বে যেতে বলা হচ্ছে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কাছাকাছি সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ। তাই পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অবস্থানরত পর্যটকদের সৈকত থেকে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

শুক্রবার (১২ মে) রাত ১০টার দিকে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে মাইকিং করে বিষয়টি জানিয়ে সব পর্যটকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।

হোটেল-মোটেলগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার ছুটির দিন হলেও কুয়াকাটায় ঘূর্ণিঝড় মোখার আতঙ্কে পর্যটক কম ছিল। তবে যারা আছেন তাদের অনেকেই শনিবার ফিরে যাবেন।

jagonews24

কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পৌরসভার আওতাধীন সব সাইক্লোন শেল্টারগুলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং কুয়াকাটার সব হোটেল-মোটেলগুলোও খুলে দেওয়া হবে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সৈকতে থাকা সব পর্যটকদের সরিয়ে নিয়ে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিয়েছি। শনিবারও আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সব তথ্য জানিয়ে দেবো।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এরইমধ্যে আমরা মেয়র, প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং স্বেচ্ছাসেবক লিডারদের সঙ্গে বৈঠক করে ১৭৫টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১৯টি মুজিবকেল্লা এবং পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রেখেছি। কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের রাতেই নিরাপদে সরিয়ে আনা হচ্ছে।

jagonews24

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় মোখা। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যায় উপকূলে অতিক্রম করতে পারে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হলেও ফের পটুয়াখালীকে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পটুয়াখালী ও অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এমআরআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।