জয়পুরহাটে ধানের বাজার নিম্নমুখী, দিশেহারা কৃষক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জয়পুরহাট
প্রকাশিত: ০৫:৩২ পিএম, ২৪ মে ২০২৩

জয়পুরহাটে ধানের বাজার নিম্নমুখী। এক সপ্তাহ আগেও ধান যে দামে বিক্রি হচ্ছিল তা থেকে মণপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা কমেছে। সেচ খরচ, সার ও কীটনাশকের মূল্যবৃদ্ধি, শ্রমিক সংকটের মধ্যেও ধানের ন্যায্য দাম না পেয়ে হতাশ কৃষকরা।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল, বড়ইতলী, পাকার মাথা ও কালাই শহরের পাঁচশিরা বাজারে প্রতিদিনই ধান কেনা বেচা হয়। এসব বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোল্ডেন আতপ ধান ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা, কাটারি ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা, জিরা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ ও সুভলতা ধান ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে ধানের দাম মণপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা কমেছে।

সদর উপজেলার গংগাদাসপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক জাগো নিউজকে বলেন, ‘সপ্তাহখানেক আগেও কাটারি ধান ১ হাজার ২৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২৯০ টাকা, জিরা ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা ও সুভলতা ধান ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে। অথচ আজ মণপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা কম।’

Rice-(4).jpg

তিনি বলেন, ‘সার ও কীটনাশকের দাম এমনিতেই বেশি। উচ্চ মজুরি দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যায় না। এ অবস্থায় আমরা যদি ধানের ন্যায্য দাম না পাই তাহলে কোথায় যাবো? আমরা কৃষকরা কী করবো?’

বড়ইতলীর ধান ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত মৌসুমের ধান-চাল এখনো মজুত থেকে গেছে। মিলাররাও এখনো নতুন ধান কেনা শুরু করেননি। এজন্য ধানের বাজার নিম্নমুখী।’

জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রতন কুমার রায় জাগো নিউজকে বলেন, ‘ধানের দাম কমে যাওয়ার কারণ হলো উৎপাদন বেড়েছে। এছাড়া মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় ধান পুরো না পাকতেই কৃষকরা কেটে ফেলছেন। এসব ধানের দাম কম পাওয়া যাচ্ছে।’

Rice-(4).jpg

তিনি আরও বলেন, ‘ধানের বাজারে কিছুটা সিন্ডিকেটও কাজ করে। তবে আমাদের বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।’

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জয়পুরহাটের পাঁচটি উপজেলায় এবার ৬৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার মেট্রিক টন।

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।