কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ

ভবনের বিমে ফাটল, পলেস্তারা পড়া ঠেকাতে বাঁশের খুঁটির ঠেস

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ০২:১৮ পিএম, ২৫ মে ২০২৩

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের মূল ভবনের দ্বিতীয়তলার বিমে ফাটল দেখা দিয়েছে। খুলে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা। ফলে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে পাঠদান ও দাপ্তরিক কাজ চলছে।

এদিকে, যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে এই ফাটল ঠেকাতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে ভবন রক্ষার চেষ্টা করছে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

jagonews24

সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের মূল ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছাদের পলেস্তারা খুলে পড়ছে। বিমেও ফাটল ধরেছে। আর সেখানেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে একাদশ শ্রেণির পাঠদান। কক্ষের বাইরে ও ভেতর ছাদে পলেস্তারার ফাটল ঠেকাতে বাঁশের খুঁটির ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে।

এমন অবস্থাতেও দীর্ঘদিন ধরে ভবনটির সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ বলছে, বরাদ্দ না থাকায় বাঁশের খুঁটি ব্যবহার করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।

একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. নেয়ামুল হাসান বলেন, অনেকদিন ধরে ভবনের এই অবস্থা। ছাদের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ও পলেস্তারা খসে পড়ে রড বের হয়ে গেছে। এ ভবনে ক্লাস করতে ভয় হয়, কখন কোন দুর্ঘটনায় পড়ি বলা মুশকিল।

মো. রবিউল ইসলাম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাসরুমের সামনে বাঁশের খুঁটি। পাশের রুমে ছাদের ফাটল আরও বেশি। এসব দেখে ক্লাসে মন বসে না। ভয় হয় কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগে ভবনের কাজ শুরুর কথা শুনেছিলাম। পরে দেখি বাঁশের খুঁটি দিয়ে রেখেছে। এ অবস্থায় আমরা সবাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মির্জা নাসির উদ্দীন বলেন, কলেজের ওই ভবনটি সবচেয়ে পুরাতন। পুরাতন ভবন হওয়ায় ভবনের কিছু স্থানে বিমে ফাটল ধরেছে, পলেস্তার খুলে পড়ছে। আমরা বিষয়টি শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগকে জানিয়েছি। দুইমাস আগে তারা কাজ শুরু করেছিল। তবে বরাদ্দ না থাকায় আবার বন্ধ করে বাঁশের খুঁটির ঠেস দিয়ে যায়।

jagonews24

তিনি বলেন, কলেজে শিক্ষার্থীর তুলনায় পর্যাপ্ত কক্ষ না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করছি। কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সুলতান মাহমুদ বলেন, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের ওই ভবন ঘুরে দেখেছি। ভবনটি সংস্কারে জন্য আপাতত কোনো বরাদ্দ না থাকায় বাঁশের খুঁটি দিয়ে রেখেছি। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।

ফজলুল করিম ফারাজী/এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।