জুতা পায়ে ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ নিষেধ, ভোগান্তিতে সেবাপ্রার্থীরা

আরাফাত রায়হান সাকিব আরাফাত রায়হান সাকিব , মুন্সিগঞ্জ মুন্সিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ২৫ মে ২০২৩

জুতা পায়ে ইউনিয়ন পরিষদে ঢোকা যাবে না। জুতা খুলে বাইরে রেখে খালি পায়ে ঢুকতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার নামে এমনই নিয়ম জারি করেছেন মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান জুয়েল। এতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। সেবা নিতে এসে অনেকে প্রবেশই করতে পারছেন না ইউনিয়ন পরিষদে।

স্থানীয় বড় রায়পাড়া গ্রামের সালামত সরকার (৭০) জাগো নিউজকে বলেন, ‘জন্মনিবন্ধন সংশোধনের বিষয়ে খবর নিতে ইউনিয়ন পরিষদে এসেছিলাম। এসে দেখলাম নিয়ম জারি করা হয়েছে, জুতা খুলে সিঁড়ির নিচে রেখে ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে ঢুকতে হবে। বিষয়টি আমার ভালো লাগেনি। এজন্য বাইরে দাঁড়িয়ে থেকেই খোঁজ নিয়েছি।’

সালমা আক্তার, রেণু বেগমসহ কয়েকজন নারী একই অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন কাজে তারা ইউনিয়ন পরিষদে এসেছিলেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা জুতা খুলে বাইরে রেখে খালি পায়ে পরিষদের ভেতরে ঢুকেছেন।

jagonews24

মোফাজ্জল মিয়া নামের একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ মসজিদ নয় যে পাক-পবিত্র হয়ে সেখানে প্রবেশ করতে হবে। গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আসবে-যাবে। তাদের পায়ে জুতা থাকবে, থাকবে না—এটাইতো নিয়ম। জুতা খুলে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে প্রবেশ করতে হবে এমন নিয়ম বাংলাদেশের আর কোনো পরিষদে আছে বলে আমার জানা নেই।’

জুতা খুলে প্রবেশের নির্দেশনার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ফিরোজ আহম্মেদ আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, একবছর আগেই চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে টাইলস বসান। জুতা পায়ে এলে ময়লা হয়। এজন্য জুতা খুলে পরিষদে ঢোকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান জুয়েলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউপি) আব্দুলাহ আল মাহফুজ বলেন, ‘এমন কোনো বিধিনিষেধ চেয়ারম্যান আরোপ করতে পারেন না। সামাজিকভাবেও এটি দৃষ্টিকটু। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।’

আরাফাত রায়হান সাকিব/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।