অস্ত্র ও জনবল সংকটে খুলনার আনসার বাহিনী


প্রকাশিত: ১০:৫০ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৬

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় অস্ত্র ও জনবলের ঘাটতি পূরণে হিমশিম খাচ্ছে খুলনার আনসার বাহিনী। মজুদকৃত অস্ত্রের ৮০ শতাংশই অকেজো। যা শুধুমাত্র লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই নয়। অকেজো অস্ত্রের পাশাপাশি দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার সদস্যও নেই বাহিনীতে।

ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় স্মার্ট কার্ডধারী আনসার নিয়োগ বাধ্যতামূলক হলেও খুলনা জেলায় তাদের দেখা মিলছে না। এদিকে জেলার ৭১ শতাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে পুলিশ প্রশাসন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি ১৪ জন আনসার দায়িত্ব পালন করবে। তার মধ্যে ২ জন কর্মকর্তা, ৬ জন পুরুষ ও ৬ জন মহিলা। একই সঙ্গে প্রত্যেক কেন্দ্রে ৪ জন স্মার্ট কার্ডধারী আনসারকে অস্ত্রসহ দায়িত্ব পালনে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সূত্র মতে, জেলার ৬৫০টি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ২ হাজার ৫৬৪টি অস্ত্র, একই সংখ্যক স্মার্ট কার্ডধারী আনসার প্রয়োজন। এরমধ্যে জেলা আনসারের নিয়ন্ত্রণে ৩৩০টি অস্ত্র মজুদ এবং ২ হাজার ২৫৩ জন স্মার্ট কার্ডধারী আনসারের ঘাটতি রয়েছে।

খুলনার সার্কেল আনসার এ্যাডজুটেন্ট মো. ওসমান গনি জানান, ঘাটতি পূরণের চেষ্টা চলছে। নির্বাচনের আগে সদর দফতর থেকে দিক নির্দেশনা আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
 
খুলনা সদর থানা আনসার কর্মকর্তা শেখ আমানুল হোসেন আমান জানান, স্মার্ট কার্ডধারী আনসারের তথ্য মাঠ পর্যায়ে নেই। পাশাপাশি প্রকৃত আনসারদেরও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জেলা পর্যায়ে ১০ বছর আনসারদের প্রশিক্ষণ হয় না।

ঘাটতি পূরণে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে সহযোগিতার জন্য চাইনিজ রাইফেল চাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

অন্য সূত্রগুলো জানায়, আনসারদের অস্ত্র ৮০ শতাংশই অকেজো। এসবের মেয়াদ ও কার্যকারিতা অনেক অগেই শেষ হয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর চাইনিজ রাইফেল সম্পর্কে স্থানীয় আনসারের প্রশিক্ষণ নেই।
 
এদিকে জেলা পুলিশের সূত্র জানায়, ৯ উপজেলার ৭১ শতাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। রূপসা উপজেলা ঝুঁকিপূর্ণ তালিকার শীর্ষে রয়েছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) প্রতি কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ১০ জন করে পুলিশ চেয়েছেন। এ প্রস্তাবের বিপরীতে পাওয়া গেছে ৮ জন সিপাহী।
 
পাইকগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন জানান, উপজেলার হরিঢালী, কপিলমুনি ও গদাইপুর ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলো ঝুঁকিপূর্ণ।

আলমগীর হান্নান/এফএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।