হত্যা মামলার আসামিকে গণপিটুনির পর পুলিশে দিলো গ্রামবাসী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী
প্রকাশিত: ০৫:২৮ পিএম, ২৪ জুন ২০২৩

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জ ইউনিয়নের মাছ ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাস (৫০) হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি বাদশাকে (২৮) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী। শনিবার (২৪ জুন) সকালে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে গেলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণপিটুনির পর পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

আটক আসামি বাদশা বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড় গ্রামের মৃত কামালের ছেলে। তাকে অসুস্থ অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, দুলাল হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বাদশাকে খুঁজছিল পুলিশ। গ্রামের লোকজনকে সতর্ক রাখা হয়েছিল। শনিবার গোপনে বাদশা মায়ের সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করতে গেলে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে তাকে আটক করে। এ সময় পালাতে গিয়ে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। চিকিৎসা শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, স্থানীয় রব মিয়ার পুকুরে আবুল ও বাদশা মাছ চুরি করেন। যা দুলাল দেখেছিলেন। তাকে বিষয়টি প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছিলেন আসামিরা। কিন্তু দুলাল তা প্রকাশ করে দেন। এছাড়া দুলালের বাড়ির ওপর দিয়ে আসামিরা শ্মশানে গিয়ে মাদক সেবন করতেন। এ নিয়ে বাধা দেওয়ায় তারা দুলালের ওপর আগে থেকে ক্ষিপ্ত ছিলেন।

১০ জুন সকালে টঙ্গীরপাড়া গ্রাম থেকে চেয়ারে বসা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের শিকার দুলাল চন্দ্র দাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার প্রকাশ্য কোনো শত্রু ছিল না। ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যে সন্দেহবশত স্থানীয় আবুল নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি আদালতে স্বীকার করেন এবং বাদশা এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড বলে পুলিশকে নিশ্চিত করেন।

ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।