ধর্ষণ-পর্নোগ্রাফি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৯:২১ এএম, ০৬ জুলাই ২০২৩
চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় কারাগারে গেলেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। চকমিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিকের (৪৩) বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন এক তরুণী।

বুধবার (৫ জুলাই) তিনি ঢাকার একটি আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে তা নামঞ্জুর করে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম দৌলতপুর উপজেলার চকহরিচরণ গ্রামের মৃত আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে। মামলার বাদী ওই তরুণীর গ্রামের বাড়িও একই উপজেলায়। তিনি বর্তমানে সাভারের আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত।

জানা গেছে, গত ১৬ মে চেয়ারম্যান শফিকের বিরুদ্ধে ওই তরুণী বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন ব্যক্তিগত কাজের সুবাদে চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের সঙ্গে প্রায় আট বছর আগে তার পরিচয় হয়। পরে মোবাইল ফোনে তাদের মধ্যে যোগাযোগ চলে। দীর্ঘ আলাপে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনের কাছে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেন।

এ নিয়ে গত এপ্রিল মাসে ওই নারী বিয়ের জন্য চাপ দিলে শফিকুল ইসলাম অস্বীকৃতি জানান। একইসঙ্গে ওই নারীর ব্যক্তিগত ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। পরে ওই নারী আশুলিয়া থানায় মামলা করেন।

এদিকে, আইনি পদক্ষেপের আগে ওই নারী একাধিকবার ফেসবুক লাইভে এসে চেয়ারম্যান শফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোমেনুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত ঢাকা-৬ এ আসামি শফিকুল ইসলাম হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। এসময় বিচারক শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বি এম খোরশেদ/এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।