ভবদহ অঞ্চলকে মহাবিপর্যয় থেকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ০৯:১৪ পিএম, ০৯ জুলাই ২০২৩

যশোরের ভবদহ অঞ্চলকে মহাবিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি। এজন্য টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) চালু এবং সরকারকে মিথ্যা তথ্য প্রদান ও জনপদের দুঃখ-দুর্দশা, নদী হত্যা, সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে।

রোববার (৯ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে নেতারা এসব দাবি তুলে ধরেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুদ আলম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, আহ্বায়ক রনজিত বাওয়ালি, অধ্যাপক অনিল বিশ্বাস, তসলিমুর রহমান, পলাশ বিশ্বাস।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২৬ মে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ নদী পরিদর্শনকালে জানতে পারেন বারোয়াড়িয়া চার নদীর মোহনায় ভাটির সময় ধু-ধু চর জেগে ওঠে। মানুষ নদীর মধ্যে সুন্দরবন থেকে ভেসে আসা কাঠ কুড়াতে যায়। বারোয়াড়িয়া মোহনায় চারটি নদী একটি ভদ্রা গেছে রূপসায়, হাবরখানা নদী গেছে শিবসায়, জিরাবুনিয়া নদী কপোতাক্ষ হয়ে মিলিত হয়েছে শিবসায়, যেটির সংযোগ স্থান বর্তমানে বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

অপরটি গ্যাংরাইল নদী ভবদহ অঞ্চল থেকে মোহনায় মিশেছে। গ্যাংরাইল মোহনার মিলনস্থলে ভাটির সময় পানি থাকে ১০-১২ ফুট। সৃষ্ট পরিস্থিতির অবসান না হলে রূপসা-শিবসা নদী ও চালনা পোর্ট মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে চলে যাবে। ভবদহ স্লুইচ গেট থেকে ৬০ কিলোমিটার নদী হত্যা করা হয়েছে। ফলে যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে বারোয়াড়িয়া মোহনা পর্যন্ত যশোর-খুলনা-সাতক্ষীরা জেলাধীন নদী অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার জনপদের চার শতাধিক গ্রাম, হাট বাজার, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, বাড়িঘর, আবাদ ফসল স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার হতে চলেছে।

অপরদিকে নদীগর্ভে ৫টি সরকারি আবাসন প্রকল্প, ২৪-২৫টি ইটভাটাসহ নানা ধরনের স্থাপনা সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে স্থাপন করা হয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমিকা নেই। জেলা প্রশাসকগণ নদী রক্ষা কমিশনের সভাপতি, নদী সম্পদ রক্ষা ও নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে বিআইডব্লিউটিএর নীতিমালার মান্যতা দেখার দায়িত্বে থাকলেও রহস্যজনকভাবে নিরবতা পালন করছে। যা সরকার গৃহিত নীতিমালার পরিপন্থি এবং সরকারকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এক্ষেত্রে সরকার গৃহিত নদী তট আইন মানা হচ্ছে না।

মিলন রহমান/এসজে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।