মেয়েকে তুলে নিতে বাধা দেয়ায় বাবাকে হত্যা, আটক ৭


প্রকাশিত: ০৩:৫৭ এএম, ১৬ মার্চ ২০১৬

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মেয়েকে তুলে নিতে বাধা দেয়ায় বাবা মনিন্দ্র অধিকারীকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রেমিকসহ তার বন্ধুরা। বুধবার ভোরে ফতুল্লার ভুইগড় রগুনাথপুর এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম (৩৫), মনির হোসেন (৩৪), জাহিদ (২০), সুশান্ত (১৯), জুয়েল (২৫), বাবু (২১) ও হ্নদয়সহ (২৬) ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের সঙ্গে দুটি মাইক্রোবাস আটক করা হয়।

নিহত মনিন্দ্র অধিকারী লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানার কৃজ্ঞদিশা এলাকার মৃত উতিন্দ্র অধিকারীর ছেলে। তিনি মনিন্দ্র বাড়ির কেয়ারটেকার ও রিকশাচালক।

Monidro

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন পরিবারের বরাত দিয়ে জাগোনিউজকে জানান, ভুইগড় রগুনাথপুর এলাকায় এনামুল হকের বাড়িতে স-পরিবার নিয়ে বসবাস করে মনিন্দ্র অধিকারী এবং বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করতেন। তার তিন মেয়ের মধ্যে মেজ মেয়ে ঝর্না অধিকারীর (১৭) সঙ্গে ঢাকার তুহিন নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের প্রেমের সম্পর্ক পরিবারের লোকজন জানতেন না।

এদিকে, ঝর্নার বিয়ে ঠিক হয় পাগলার এক ছেলের সঙ্গে। ঝর্না এ বিয়েতে রাজি না হয়ে তার প্রেমিক তুহিনকে বিষয়টি অবগত করেন। পরে দুটি মাইক্রো নিয়ে তুহিনসহ তার বন্ধুরা মঙ্গলবার গভীর রাতে রগুনাথপুরের বাড়ি থেকে ঝর্নাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় বাবাসহ পরিবারের লোকজন বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঝর্নার বাবা মনিন্দ্র অধিকারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তুহিন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিহতের স্ত্রীসহ আশপাশের লোকজন ৭ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

তিনি আরও জানান, নিহত মনিন্দ্র অধিকারীর মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

শাহাদাত হোসেন/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।