ভাঙন থেকে রক্ষা চান সাঙ্গুপাড়ের বাসিন্দারা
বান্দরবান সদর উপজেলার সবচেয়ে কৃষি উৎপাদিত এলাকা গোয়ালিয়া খোলা। জেলাজুড়ে কৃষি উৎপাদনের জন্য সুনাম আছে এই এলাকাটির। এখানকার উৎপাদিত সবজি ও কৃষিপণ্য জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়।
কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু নদীতে বিলীন হয়েছে মধ্যম গোয়ালিয়া খোলা এলাকার এক তৃতীয়াংশ কৃষি জমি ও বসত বাড়ি। ভাঙন ঝুঁকিতে থাকা জমিগুলো রক্ষার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আমার জন্ম ও পৈতৃক ভিটা এখন নদীর গহ্বরে। নতুন যে ঘরটি করেছি ভাঙনের কারণে সেটিরও কাছাকাছি চলে এসেছে নদী। সম্প্রতি পাউবোর বাস্তবায়নে তীর রক্ষায় বালি ভর্তি জিওটেক্সটাইল ব্যাগ দেওয়ার ফলে রক্ষা পেয়েছে আমারসহ অনেকের বসতভিটা ও চাষের জমি। বাকি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতেও এ ধরনের ব্যাগ বসিয়ে ভাঙনরোধের দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি বর্ষায় এ এলাকার নদীর তীর ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হন এলাকাবাসী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নদীর তীর রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করে পাউবো। ভাঙন প্রকল্পের কারণে ১০০ একরেরও বেশি জমি নদী ভাঙন হতে রক্ষা পেয়েছে এবং ভাঙন ঝুঁকিতে থাকা বাকি অংশে এরূপ ব্লক দেওয়া হলে হাজারেরও অধিক আবাদি জমি নদী ভাঙন হতে রক্ষা পাবে।
বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে নদীর তীর রক্ষায় কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরূপ স্থানীয়দের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রাপ্ত বরাদ্দে মোট ১১৯ মিটার অংশে যথাযথ মান অনুযায়ী নদীর তীর রক্ষা কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। ভবিষ্যতে বরাদ্দ পেলে আরও কাজ করবেন।
নয়ন চক্রবর্তী/এসজে/জেআইএম