লক্ষ্মীপুরে হাজার হেক্টর আমন-সবজিক্ষেত পানির নিচে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ১০:৫৬ এএম, ০৮ আগস্ট ২০২৩

লক্ষ্মীপুরে টানা তিনদিনের বৃষ্টি ও মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে এক হাজার হেক্টর আমন ধান ও শাকসবজির ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। কমলনগর ও রামগতি উপজেলার ২৫টি গ্রামীণ পাকা ও কাঁচা সড়ক ভেঙে গেছে।

কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের নাসিরগঞ্জে একটি রাস্তা ভেঙে জনপদে পানি ঢুকেছে। এতে ১৫ বসতঘর বিধ্বস্ত হয়। রামগতির চর রমিজ ও চর আবদুল্লাহসহ বিভিন্ন স্থানে ৩৫টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

jagonews24

জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বছর ৮১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরই মধ্যে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। তবে খরার কারণে কৃষকরা পুরোদমে আবাদ করতে পারেননি। এ মাসজুড়ে তারা আবাদ করবেন। তবে জোয়ারের পানিতে এক হাজার হেক্টর জমির আমন ও ৬০ হেক্টর জমির সবজি তলিয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা তিনদিনের বৃষ্টি ও মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে রামগতি ও কমলনগরের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এ জনপদের ৩২ কিলোমিটার উপকূলে বেঁড়িবাধ না থাকায় জোয়ারে আশপাশের বাসিন্দাদের বাড়িঘর ডুবে গেছে। নদী তীরবর্তী ইউনিয়নগুলোর বাসিন্দাদের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।

jagonews24

রামগতির চর রমিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদার বলেন, জোয়ারে দুটি পাকা ও চারটি কাঁচা রাস্তা ভেঙে গেছে। তিনদিন ধরে মানুষ চুলা জ্বালাতে পারছে না। ঘরবাড়ি ভেঙে মানুষের কষ্টের শেষ নেই।

রামগতি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হযরত আলী বলেন, রামগতিতে বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারে এক হাজার ৫৮০ হেক্টরের রোপা আমন ও ২৪৭ হেক্টর জমির বীজতলার আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া ১০৫ হেক্টর জমির শাকসবজি পানিতে ডুবে আছে। পানি সরে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হবে।

jagonews24

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, কমলনগরে ৭-৮টি গ্রামীণ রাস্তা ভেঙে গেছে। এরমধ্যে চর কালকিনি ইউনিয়নের নাসিরগঞ্জ এলাকার একটি রাস্তা ভেঙে জনপদে পানি ঢুকেছে। এতে ১৫-২০টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আমনের চারা রাখা হয়েছে।

jagonews24

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান বলেন, প্লাবিত এলাকার দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির যে তালিকা পাওয়া গেছে, তা ঢাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

কাজল কায়েস/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।