ভৈরবে বেড়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
প্রকাশিত: ১২:৪৮ পিএম, ০৮ আগস্ট ২০২৩
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। গত সাত মাসে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন পাঁচজন। এর কারণ হিসেবে সমাজে অস্থিরতা ও পারিবারিক কলহকে দায়ী করেছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভৈরবে এসব ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করা হয়েছে। তবে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, পারিবারিক কলহের জের ধরেই তারা আত্মহত্যা করেছেন।

গত ৭ জুলাই ভোরে সোনিয়া বেগম নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার আগে ১৫ জুন ভৈরবের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা এমাদ মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যা করেন। পরে এ ঘটনায় হাসপাতালে স্বামীর মরদেহ রেখে স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যান।

১২ জুন ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে বাসার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন নাজা বেগম নামের এক কলেজছাত্রী। ১৭ জুন হোটেলশ্রমিক রিনা বেগমকে তার প্রেমিক শাকিল গলা টিপে হত্যা করেন। এ ঘটনায় শাকিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত ১৫ মে ভৈরবের শম্ভুপুর এলাকার গৃহবধূ জোনাকী বেগম তার শিশু সন্তানসহ নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেন। তার স্বামী ফরহাদ ইতালী প্রবাসী। অভিযোগ রয়েছে, শাশুড়ির অত্যাচার-নির্যাতন সইতে না পেরে প্রথমে সন্তান আলিফকে (৪) রশিতে ঝুলিয়ে হত্যা এবং পরে তিনি আত্মহত্যা করেন।

এ বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নিজাম উদ্দিন বলেন, যখন সমাজে অস্থিরতা ও পারিবারিক কলহ বেড়ে যায় তখন মানুষ আত্মহত্যা করে।

তিনি বলেন, আত্মহত্যা একটি ভয়াবহ রোগ। আত্মহত্যার আগে মানুষের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। যখনই সংসারে অশান্তি, ঝামেলা, কলহ বাড়ে তখন অনেকে সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, অধিকাংশ মামলা তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, পারিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এসব ঘটনাগুলো খুবই স্পর্শকাতর।

আত্মহত্যার সঙ্গে সামাজিক অস্থিরতা, মাদক, অভাব, প্রেম সংক্রান্ত বিষয় জড়িত বলেও জানান তিনি।

রাজীবুল হাসান/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।