‘এখন নিজের ঠিকানা হয়েছে, এমন আনন্দের মুহূর্ত জীবনে আর আসেনি’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ১২:২১ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২৩

‘এতদিন ভাড়া বাসায় থাকতাম। কোনো কোনো সময় ঠাঁই হয়েছে অন্যের বাড়িতে। এখন নিজের একটি ঠিকানা হয়েছে। এরচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত আমার জীবনে আর আসেনি। প্রধানমন্ত্রীর জন্য আমি প্রাণভরে দোয়া করছি।’ অশ্রুসিক্ত চোখে কথাগুলো বলছিলেন ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার তৃতীয় লিঙ্গের মায়া।

বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় চতুর্থ ধাপে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর হস্তান্তর উদ্বোধন করেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় পাকাঘরসহ জমির দলিল পেয়েছেন মায়া।

আরও পড়ুন: ‘অনেক বছর পর শান্তিতে ঘুমাইতে পারবো’

অভিভাবকহীন, পরিচয় থাকতেও পরিচয় দিতে না পারা তৃতীয় লিঙ্গের মায়া। জন্মসূত্রেই হরমোনজনিত সমস্যার কারণে কৈশোরকালে ঘর ছাড়া হয়েছিলেন। বাবার ঘর থেকে বের হবার পরে তার সুনির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা ছিল না। কখনো থাকতেন ভাড়া বাসায় আবার কখনো থাকতেন অন্যের দয়ার আশ্রয়ে। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে স্বপ্নের ঘর পেলেন তিনি। ঘর পেয়ে খুশিতে আনন্দে কেঁদে ফেলেন মায়া। এখন নিজের একটি ঠিকানা হয়েছে তার।

জানা গেছে, ঝালকাঠি সদর উপজেলার সুগন্ধিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১৮৭জনকে জমির দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেছেন জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম। একই সময়ে কাঁঠালিয়া উপজেলায় নতুন করে ৫০টি ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তর অনুষ্ঠানের বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আহসান হাবীব তৃতীয় লিঙ্গের মায়ার হাতে দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন।

আরও পড়ুন: গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে আনোয়ারা-হাটহাজারী

অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুন শিবলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল হক মনির, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসান মোহাম্মদ শোয়াইব, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো.বদিউজ্জামান সিকদার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শহীদুল ইসলাম।

মো. আতিকুর রহমান/জেএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।