সুন্দরবনে সাঁতরে নদী পার ৩ বাঘের, ভিডিও ভাইরাল

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মোংলা (বাগেরহাট)
প্রকাশিত: ০৯:১০ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা ও কচিখালি এলাকায় দুটি বাঘ সাঁতরে নদী পার হচ্ছিল। আর সেই মনোরম দৃশ্য দেখার সুযোগ পেয়েছে সাম্পান ও ক্রাউন নামের বিলাসবহুল দুইটি ক্রজারে ভ্রমণ করা পর্যটকরা।

বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদের প্রজননের জন্য টানা তিন মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সুন্দরবন। আর পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই দেখা মিললো এমন সুন্দর দৃশ্যের।

শুধু পর্যটকরাই নয়, এমন দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছে বনরক্ষীরা। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শরণখোলা রেঞ্জ অফিসের কাছে আলিবান্দা এলাকায় আরও একটি বাঘকে নদী সাঁতরে পার হতে দেখেন তারা। তিনটি বাঘের নদী সাঁতরে পার হওয়ার দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করলে তা মুহুর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে আহত জেলের মৃত্যু

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক শেখ মাহবুব হাসান জানান, বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদের প্রজনন মৌসুমে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ সেপ্টেম্বর) থেকে সুন্দরবন পর্যটক ও বনজীবীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। পর্যটন মৌসুমের শুরুতে সুন্দরবনে ভ্রমণ করতে আসা ক্রাউন নামের বিলাসবহুল ক্রজারের দেশি-বিদেশি পর্যটকরা শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরের সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালি এলাকার নদী সাঁতরে পার হতে দেখেন একটি বাঘকে। আর রোববার সকালে শরণখোলা রেঞ্জের কটকা এলাকায় সাঁতরে নদী পার হতে দেখেন সাম্পান নামের বিলাসবহুল অপর একটি ক্রজারের পর্যটকরা। দুপুরে শরণখোলা রেঞ্জ অফিসের কাছে আলিবান্দা এলাকায় আরও একটি বাঘকে নদী সাঁতরে পার হতে দেখার দুর্লভ সুযোগ পায় বনরক্ষীরা। খুব কাছ থেকে দেখা তিনটি বাঘের নদী সাঁতরে পার হবার ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এর আগে ৮ আগস্ট সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালি অভয়ারণ্য কেন্দ্রের অফিসের সামনে দেখা মিলে একটি বাঘের। বিশাল বাঘটি বনরক্ষীদের ব্যারাকের খুব কাছে চলে আসে। এ সময় মোবাইলে বাঘটির ভিডিও ধারণ করেন এক বনরক্ষী।

আবু হোসাইন সুমন/জেএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।