চুরি করতে গিয়ে হত্যা: তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শেরপুর
প্রকাশিত: ০৩:২৪ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শেরপুরে বৃদ্ধা ফরিদা বেগম হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আর যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন শহরের গৌরীপুর মহল্লার যোগেন বিশ্বাসের ছেলে লিটন বিশ্বাস, মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও রফিক মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া। এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন আব্দুস ছালামের ছেলে আলাল উদ্দিন।

জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পিপি অ্যাডভোকেট নরেশ চন্দ্র দে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ২০১৯ সালের ২১ আগস্ট রাতে শেরপুর শহরের পশ্চিম গৌরীপুর এলাকায় মৃত আব্দুস সালামের স্ত্রী ফরিদা বেগমের বাসায় চুরি করতে ঢোকেন ওই এলাকার মাদকাসক্ত যুবক লিটন, জাহাঙ্গীর, শামীম ও আলাল উদ্দিন। বৃদ্ধা ফরিদা বেগম তাদের চিনে ফেলায় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন আসামিরা। ওই ঘটনায় পরদিন বৃদ্ধা ফরিদা বেগমের ছেলে সুমন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।

অ্যাডভোকেট নরেশ চন্দ্র দে আরও জানান, মামলার তদন্তকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সন্দেহভাজন আসামি জাহাঙ্গীর ও লিটনকে গ্রেফতার করে। তারা ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট আদালতে বৃদ্ধা ফরিদা বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দি অনুযায়ী শামীম ও আলালকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি ওই চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক হারুন-অর-রশীদ। পরে মামলার বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।