‘এমপি নূরের জন্য পাকুন্দিয়া-কটিয়াদীর আওয়ামী লীগ স্বাধীন না’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালেও সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের জন্য কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদী উপজেলায় আওয়ামী লীগ স্বাধীন না।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কর্মী সভায় এ মন্তব্য করেন উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ললিতা আক্তার বিথী।
তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না। আমরা স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। অথচ বর্তমান এমপি নূর মোহাম্মদের জন্যই আমাদের পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী স্বাধীন না। তবে এ দিন আর বেশি নয়। আপনারা অপেক্ষা করেন কিছুদিনের মধ্যেই অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন নৌকার মাঝি হয়ে আসবেন।
পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল আলম বলেন, পরিবর্তনের নামে সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের পায়তারা করছে। তার প্রত্যক্ষ উদাহরণ ভিপি ফরিদ ভাইয়ের চারটি দাঁত ও পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদ ভাইয়ের পা ভাঙা ও রফিকুল ভাইয়ের মাথায় কোপের দাগসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মীর পঙ্গুত্ব বরণ করা। পাকুন্দিয়া কটিয়াদীতে আবারো সোহরাব ভাইকে চাই।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন বলেন, প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা হলেন জাতির আয়না আপনাদের মাধ্যমেই মানুষ জাতির চেহারা দেখে। দয়া করে আপনারা দেখবেন আজকে পাকুন্দিয়া-কটিয়াদীর কী অবস্থা। এ অবস্থা বিবেচনা করে আগামী দিনের মানুষের যে স্বপ্ন, মানুষের যে চাহিদা, সেই চাহিদার কথা আপনারা দয়া করে তুলে ধরবেন। অনেক সময় অনেকেই বলে আইজি ও সোহরাব খালি মারামারি করে। আমি মারামারি কখন করি যখন আমি পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় বাধা দিলে তখন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। আমরাতো কোন ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মারামারি করি না।
সভায় হোসেন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. মাহবুবুর রহমান, মো. শামসুদ্দোহা, ভিপি ফরিদ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক একরাম হোসেন টিপু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ তুহিন।
এসকে রাসেল/এসজে/এএসএম