অবরোধে কুমিল্লা থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের প্রথমদিনে কুমিল্লা থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরগন্তব্যের যাত্রীরা।
বুধবার (২২ নভেম্বর) নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল জাঙ্গালিয়া, শাসনগাছা, পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
একই সঙ্গে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বাসটার্মিনালগুলোতেও মোতায়েন করা হয়েছে আনসার ও পুলিশ সদস্য। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে বিভিন্নস্থানে সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। টহল দিচ্ছেন বিজিবি ও র্যাবের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ‘বাড়িতে বউ বাচ্চা আছে, ঘরে বসে থাকলে তো আর পেট ভরবে না’
জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনালে গিয়ে গেছে, কুমিল্লা-ঢাকামুখী এশিয়া এয়ারকন, এশিয়া ট্রান্সপোর্ট, রয়েল, মিয়ামি পরিবহনের জন্য অনেকেই অপেক্ষা করছেন বাস কাউন্টারে। তবে সকাল থেকে এসব পরিবহনের কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। একই এলাকা থেকে চট্টগ্রামগামী সৌদিয়া পরিবহনের কোনো ছেড়ে যাননি।
রয়েল কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মনোয়ার হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করি। ঢাকায় যাওয়া খুব জরুরি। তবে এই এলাকা থেকে কোনো বাস ঢাকায় যাচ্ছে না। সকাল ৭টা থেকে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করছি। এখন ভেঙে ভেঙে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশের গুলির অভিযোগ, আহত ১২
এশিয়া এয়ারকনের সুপারভাইজার সাইফুল বলেন, হরতাল-অবরোধে সড়কে গাড়ি নামালে ঝুঁকি বেশি। যার কারণে কুমিল্লা থেকে কোনো বাস ঢাকায় যাচ্ছে না। তাছাড়া চালক ও হেলপারের কোনো ক্ষতি হলে এর দায় কে নিবে। সব মিলিয়ে আমাদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।

সৌদিয়া পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার বলেন, এর আগে হরতালে আমাদের মালিকের একটি গাড়ি চট্টগ্রামে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। যার কারণে মালিক পক্ষে থেকে অবরোধে সড়কে গাড়ি বের করতে না করা হয়েছে।
কুমিল্লা থেকে চাঁদপুরগামী বোগদান পরিবহনের একাধিক কর্মচারী বলেন, ভাঙচুরের ভয়ে বাস বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে নগরীর চকবাজার ও জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল থেকে ফেনীর উদ্দেশ্যে মদিনা ও যমুনা পরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়াও জেলা সদর থেকে বিভিন্ন উপজেলা রোডে ছোট ছোট বাসগুলি চলাচল করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেললাইনে নাশকতার চেষ্টা
পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল মান্নান জাগো নিউজকে বলেন, অবরোধে জনসাধারণের যানমালের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ জেলার বিভিন্ন সড়কে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অবরোধের নামে কেউ নাশকতার চেষ্টা করে তাকে ছাড়া দেওয়া হবে না।
জাহিদ পাটোয়ারী/জেএস/এএসএম