নেত্রকোনার দুটি আসনে নতুন মুখ, তিনটিতে পুরাতন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনার পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটিতে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন নতুন মুখ। তবে অপর তিনটি আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যরা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য মো. মোশতাক আহমেদ রুহীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি ২০০৮ সালে নৌকার প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এরপর দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মানু মজুমদার, সাবেক সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস, দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদারসহ ২২ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন।
নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেন বেলালকে বাদ দিয়ে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহমেদ হোসেনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ওয়ারেসাত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ রয়েছেন। ওই আসনে ওয়ারেসাত হোসেনের বড় ভাই বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনসহ ৯ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন।
নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান খসরুকে এবারও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম নৌকার মনোনয়নে জয়ী হন। দশম নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও একাদশ নির্বাচনে তিনি আবার মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন।
নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাজ্জাদুল হাসানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব। ওই আসনের সংসদ সদস্য রেবেকা মমিন গত ১১ জুলাই মারা যান। এরপর উপনির্বাচনে সাজ্জাদুল হাসানকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হলে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
এইচ এম কামাল/এএইচ/জেআইএম