নওগাঁ জেনারেল হাসপাতাল

৬ মাস ধরে অকেজো আরটি-পিসিআর ল্যাব

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
প্রকাশিত: ০৪:১০ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

নওগাঁ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয় ২০২১ সালের আগস্টে। ল্যাবে প্রতিদিন জেলার অন্তত ২০০ রোগীর করোনার পরীক্ষা হয়ে আসছিল। তবে রোগীর অভাবে ল্যাবটি ছয় মাস ধরে অকেজো পড়ে আছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আরটি-পিসিআর ল্যাব থাকলেও করোনা রোগী নেই। তাই ল্যাবটি বন্ধ। তবে যদি কোনো রোগী করোনা পরীক্ষা করাতে চায় তাহলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানায়, ল্যাবে একজনের পরীক্ষা করতে যতটুকু খরচ হয়, ৩০০ জনের পরীক্ষা করতে একই খরচ হয়। করোনা রোগী কম থাকায় পরীক্ষা করতে অধিক খরচ হয়। মূলত এ কারণে এটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন রকম পরীক্ষা করতে আগামীতে ল্যাবটি চালু করা হবে।

নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লেকচারার ড. মো. রুহুল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার পর আর কেউ করোনা পরীক্ষা করতে আসে না। এখন এটা একটি সাধারণ ব্যাধির মতো হয়েছে।

jagonews24

নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, আরটি-পিসিআর ল্যাব মূলত মেডিকেল কলেজের তত্ত্বাবধানে আছে। আমাদের এখানে ছয় মাসে একটি করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যেহেতু রোগী নেই, এজন্য আমরা আপাতত ল্যাবটি বন্ধ রেখেছি। তবে মেডিকেল কলেজের বিভিন্নরকম পরীক্ষার জন্য ল্যাবটি ব্যবহার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হবে অথবা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হবে।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হানা দেওয়ার দীর্ঘ ১৭ মাস পর নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ২০২১ সালের ৩ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে আরটি-পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ-১ আসনের সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার।

এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।