মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে এমপি প্রার্থী স্বামী-স্ত্রী

মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহম্মদ ফয়সাল বিপ্লব ও তার স্ত্রী চৌধুরী ফারিয়া আফরিনের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ নিয়ে স্থানীয় মহলে নানা আলোচনা তৈরি হয়েছে।

জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পুত্র মোহাম্মদ ফয়সাল মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনি। গত ৩০ নভেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। একই সময় তার স্ত্রী চৌধুরী ফারিয়া আফরিনের পক্ষে মনোনয়ন জমা দেন শহর ছাত্রলীগের সভাপতি নসিবল ইসলাম নোবেল।

পরে গত ০৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ফয়সাল-ফারিয়া দুজনের মনোনয়নই বৈধ বলে ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু জাফর রিপন। ফলে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দুজনই অংশ নিতে পারবেন।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই ওই দম্পতি প্রার্থী হয়েছেন। তাদের মতে, জেলা সদর তথা মুন্সিঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগের রাজনীতি মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। যার একটি পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও তার ছেলে ফয়সাল বিপ্লব এবং অপরপক্ষে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয় সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস। দুই পক্ষের চরম বিরোধ প্রকাশ পায় নির্বাচনের আগে থেকেই।

মৃণাল কান্তি দাস মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের গত দুইবারের এমপি। এবার আসনটিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব। তবে শেষ পর্যন্ত দলীয়ভাবে হ্যাট্রিক মনোনয়ন পায় মৃণালকান্তি দাস। এরপরই মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন মোহাম্মদ ফয়সাল। একই সঙ্গে তার স্ত্রী চৌধুরী ফারিয়া আফরিনও মনোনয়ন জমা দেন। একই আসনে দুজনের নির্বাচন নয়, মূলত প্রতিপক্ষ প্রার্থী মৃণাল কান্তিকে ঠেকাতেই এমন কৌশল নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে চৌধুরী ফারিয়া আফরিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। তবে মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, জনগণ কাকে সমর্থন করবে তা সময়ই বলে দেবে।

তিনি আরও বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন কোনো যুদ্ধ নয় এটি জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের প্রতিযোগিতা। দলীয় কর্মীদের বলেছি এমন কোনো ঘটনার সৃষ্টি যেন না হয় যাতে ভাই-ভাইয়ের দ্বন্ধ সৃষ্টি হয়।

আরাফাত রায়হান সাকিব/এএইচ/এমএস