মেজর (অব.) আখতার
‘বিএনপির একটা লোককে গ্রেফতার করতে হলে আগে আমাকে করতে হবে’
কটিয়াদীর-পাকুন্দিয়ার বিএনপি একটা লোককে গ্রেফতার করতে হলে আগে আমাকে গ্রেফতার করতে হবে। এটা আপনাদের সামনে আমার পরিষ্কার ওয়াদা থাকলো। গ্রেফতার করলে আমি করবো।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলা সুখিয়া ইউনিয়নের হরশী ঈদগাহে আয়োজিত নির্বাচনী পথসভায় একথা বলেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন।
তিনি বলেন, বিচার করলে আমি করবো। আপনাদের কোনো সমস্যা থাকলে আমি সমাধান করব। মামলার নামে কোর্টের নামে টাকার ধান্দাবাজি মানুষকে নিঃস্ব করে দেওয়া। মামলা চালাইতে চালাইতে কত মানুষ আজকে ফকির হয়ে গেছে গা। নিঃস্ব হয়ে গেছে গা। পুলিশের অত্যাচার-অনাচার থেকে বাঁচতে কত মানুষ ভিটাবাড়ি বিক্রি করে দিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে চলে যাচ্ছে। এখানে মামলা থাকলে ঢাকায় রিকশা চালায়। ঢাকায় ধরলে পরে আইয়া বাড়িতে আত্মগোপনে থাকে। এই জীবন বন্ধ করতে হবে।
মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন আরও বলেন, ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকেন। যদি আমার ট্রাক হাইওয়েতে উঠতে পারে আর চিন্তা নেই।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল কাহহার আকন্দ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এর টেলিভিশন প্রতীকের প্রার্থী বিল্লাল হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আম প্রতীকের প্রার্থী আলেয়া, গণফ্রন্টের মাছ প্রতীকের প্রার্থী মীর আবু তৈয়ব মো. রেজাউল করিম। এছাড়াও দুই স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সাবেক এমপি সোহরাব উদ্দিনসহ মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তাদের মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল কাহহার আকন্দ এবং ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সোহরাব উদ্দিন ও ট্রাক প্রতীকের বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আখতারুজ্জামান রঞ্জনের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস মিলছে।
এস কে রাসেল/এএইচ/এমকেআর