আচরণবিধি লঙ্ঘন: কুষ্টিয়ায় হানিফ ও তার ভাইকে শোকজ
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কুষ্টিয়া-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মাহবুবউল আলম হানিফ ও তার চাচাতো ভাই সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতাকে কারণ দর্শানোর পৃথক নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ওই আসনে অনুসন্ধান কমিটির প্রধান মুহাম্মদ মাযহারুল ইসলামের সই করা নোটিশটি দুই ভাইকে পাঠানো হয়েছে। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম।
নোটিশে আগামী মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় অনুসন্ধান কমিটি প্রধানের কার্যালয়ে হাজির হয়ে এ দুজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

জানা যায়, রোববার সকালে কুষ্টিয়া কলকাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জনসভার আদলে মঞ্চ নির্মাণ করা হয় এবং সেখানে নতুন শিক্ষা কারিকুলামের প্রশিক্ষণ নিতে আসা শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। ব্যানারে আয়োজনে ‘মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকবৃন্দ’ লেখা থাকলেও এ আয়োজন করেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও কলকাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেবুন্নেসা সবুজ।
এতে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করা হয়েছে অভিযোগ এনে স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনু প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ২৪ ডিসেম্বর নৌকার প্রার্থী মাহাবুবউল আলম হানিফ কলকাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকবৃন্দের আয়োজনে ‘শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ-শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন ও জাতীয় নতুন শিক্ষা কারিকুলাম ২০২১ শীর্ষক সাতদিনব্যাপী প্রশিক্ষণের শেষ দিনে তাদের নির্বাচনী জনসভা করতে বাধ্য করেন। যা ২০০৮ এর নির্বাচনী আচরণবিধি ১৪ এর লঙ্ঘন। এজন্য আগামী ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় সশরীরে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিত হয়ে তাকে লিখিত বক্তব্য নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এদিন সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতাও কলকাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষকদের ট্রেনিং শুরুর আগে নির্বাচনী জনসভা করার জন্য বাধ্য করেন এবং সেখানে মাহাবুবউল আলম হানিফের উপস্থিতিতে একটি নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
যা নিবার্চন আচরণবিধি লঙ্ঘন। তাই আতাকেও আগামী ২৬ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্য অনুসন্ধান কমিটির কাছে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আল-মামুন সাগর/এমকেআর