মেহেরপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নানকে আবারও শোকজ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর
প্রকাশিত: ০১:৩৮ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

মেহেরপুর-১ (মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবদুল মান্নানকে আবারও কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দপুরে মেহেরপুরের দায়রা জজ আদালতের যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির মেহেরপুর-১ আসনের সভাপতি মো. কবির হোসেন তাকে এ নোটিশ দেন। বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) সশরীর অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে হাজির হয়ে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মান্নান ফোন করে মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অলোক কুমার দাশকে হুমকি দিয়েছেন। এর একটি রেকর্ড সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহিন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিকে লিখিত অভিযোগ দেন।

১ মিনিট ২ সেকেন্ডের অডিওতে শোনা যায় আবদুল মান্নান অলোক কুমারকে বলেন, ‘তুমি অলোক কুমার দাশ। বাইরে থেকে এসে বাড়িঘর তৈরি করে খুব আরামেই আছো। পয়সা অনেক কামাই করেছ। আমি কিন্তু যেমন ভালো লোক, তেমন খারাপ লোক। তোমাকে কোনো মন্ত্রী প্রমোশন দেয়নি। বাংলাদেশ সরকার তোমার প্রমোশন করে দিয়েছে। মন্ত্রীকে (জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন) ভোট দেওয়ার ব্যাপারে যদি আর একটা কথা শুনি, তাহলে আমি এমপি হই আর না হই, তোমার মেহেরপুরের বাসা আমি উঠিয়ে দেব। আর তুমি যদি সাবধান হয়ে যাও, তাহলে আমার প্রিয়পাত্র হয়ে থাকবে। এসব কথা তুমি পারলে তোমার মন্ত্রীকে বলো। আমি হারার জন্য আসিনি। সাবধান হয়ে যাও তুমি।’

মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অলোক কুমার দাশ জানান, ফোনে অটোকল রেকর্ডিং হয়। ১৭ ডিসেম্বর আবদুল মান্নান ফোনে হুমকি দেন। এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ারও ভয় দেখান। বিষয়টি আওয়ামী লীগের প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে জানিয়েছেন। অডিওটি তাকে দেওয়া হয়েছিল। এরপর দেখেন, তা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিমন্ত্রী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম হোসেনকে বিষয়টি জানান। রিটার্নিং কর্মকর্তা অডিওটি মেহেরপুরের দায়রা জজ আদালতের যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি মো. কবির হোসেনকে দিয়েছেন।

এর আগে প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন আবদুল মান্নান। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহীন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিতে অভিযোগ করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়। পরে প্রতিনিধি পাঠিয়ে আগামী দিনে আর আচরণবিধি ভঙ্গ হবে না মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আব্দুল মান্নান।

আসিফ ইকবাল/এএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।