কুয়াশায় মোড়ানো লালমনিরহাটে শীতে নাকাল জনজীবন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমিনরহাট
প্রকাশিত: ১১:২৯ এএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪

ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো উত্তরের জেলা লালমনিরহাট। সূর্যের দেখা মিলছে না বেশ কয়েকদিন। হিমালয়ের শীতল বাতাসের সঙ্গে টিপ টিপ শিশির ঝরছে। তীব্র ঠান্ডায় জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। গরম কাপড় না থাকায় ছিন্নমূল মানুষ পড়েছে বিপাকে। তিস্তা ও ধরলার চরে কনকনে ঠান্ডা বাতাসে কষ্টে আছেন কয়েক লাখ মানুষ। কুয়াশায় বোরো বিজতলা ও আলুক্ষেতের পাতায় পচন ধরেছে।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টাতেও সূর্যের দেখা মেলেনি জেলার কোথাও। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে কুয়াশা, হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডা। এদিন লালমনিরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Lal-(1).jpg

গত ৫ দিন ধরে তীব্র ঠান্ডায় লালমনিরহাটে জরুরি কাজ না থাকলে কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। গ্রামে গঞ্জে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন সাধারণ মানুষ। রাতে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় গ্রামগঞ্জের মানুষ খুব দ্রুত ঘুমিয়ে পড়েন। ছিন্নমূল মানুষও ভুগছে গরম কাপড়ের সংকটে।

ফকিরপাড়া ইউনিয়নের সান্টু শেখ (৫০) বলেন, কুয়াশা আর ঠান্ডায় সবাই আক্রান্ত হয়ে পড়েছি। গরু-ছাগলের অবস্থা খারাপ। খুব কষ্টে দিন পার করছি। এই ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হওয়া বড় দায়।

ওই এলাকার আজিজার রহমান (৭০) বলেন, গত ৫ দিন ধরে কুয়াশায় কিছুই দেখা যায় না। এই ঠান্ডায় কৃষিকাজও করতে পারছি না।

Lal-(1).jpg

ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন বলেন, এই শীতে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩৬৫ পিস কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। বরাদ্দকৃত কম্বল দ্রুত শীতার্ত অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষদের জন্য এরইমধ্যে ৫ উপজেলায় ২৪ হাজার পিস কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তা বিতরণ শুরু হয়ে গেছে। আরও বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

রবিউল হাসান/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।