পটুয়াখালী

বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে কাজ বন্ধ

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
প্রকাশিত: ০৯:১৩ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মুসুল্লীয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও কাজের অনিয়মের অভিযোগে ওয়াশ ব্লক নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাতের অন্ধকারে ছাদের ঢালাই, ঢালাইয়ের কাজে পরিমাণে কম সিমেন্ট ব্যবহার, উন্নতমানের খোয়ার পরিবর্তে রাবিশ, নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার, মাটি-বালির ওপরে বেজ ঢালাই, বেশকিছু স্থানে পরিমাণে কম রড ব্যবহার করছে নির্মাণাধীন কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল-মদিনা মোটরস। তাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ এনে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে কাজ বন্ধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বে থাকা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মো. সোহেল।

কলাপাড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া রোধে এ ওয়াশ ব্লক তৈরি করা হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থায়নে এর ব্যয় ধরা করা হয়েছে ১৬ লাখ টাকা। স্যানিটেশনের জন্য নির্মিত দুইতলা ব্লকে খাবার পানি এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, একপাশে হাত মুখ ধোয়ার ব্যবস্থা অন্যপাশে শিক্ষার্থীদের অজুখানা, ছেলে-মেয়ে শিক্ষক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা করে তৈরি করা হচ্ছে এ ওয়াশ ব্লকগুলো।

এ বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি মো. হযরত আলী বলেন, ওয়াশ ব্লকের নির্মাণ কাজের শুরু থেকে তারা অনিয়ম করে আসছেন। আমরা যখন আসি তখন ভালো করে কাজ করে আবার চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা অনিয়মের আশ্রয় নেয়। তাই আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।

pat-(2).jpg

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইউনুস হাসান জানান, সিডিউলে কাজটি করার কথা সেভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করছে না। মাধ্যমিক বিদ্যালয় কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার স্থান এখানে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবো আমরা। তাই আমরা কাজকে আটকে দিয়েছি।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান জানান, নিয়ম অনুযায়ী কাজের সময়ে আমাদের তারা অবগত করবে। কিন্তু তারা আমাদের না জানিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছে। এটা নিয়ে বারবার তাদের বলা হলেও কোনো কর্ণপাত করছে না।

কাজের দায়িত্বে থাকা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মো. সোহেল জানান, কর্তৃপক্ষ যে অভিযোগ করেছে তার সত্যতা পাওয়া গেছে। আমি ঊর্ধ্বতনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল-মদিনা মোটরসের দায়িত্বে থাকা মো. আজিজ জানান, আমার অনেকগুলো কাজ চলে এ উপজেলায়। কাজের যে অনিয়মের অভিযোগ এগুলো আমার অজান্তে হয়েছে। আমরা এটা সংশোধন করে নিবো।

কলাপাড়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জিহাদ হোসাইন জানান, আমি অসুস্থ তাই ডাক্তার দেখাতে এসেছি। যেহেতু তারা একটা ভুল করে ফেলেছে আমি জানার পরে সংশোধন করে নিয়েছি। পরে এ ধরনের ভুল আর হবে না।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।