নেত্রকোনা

অটোরিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা
প্রকাশিত: ০৭:০২ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০২৪

নেত্রকোনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের বিরুদ্ধে ঘন ঘন মামলা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সড়ক অবরোধ করেছেন চালকরা।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) শহরের কুরপাড় পেট্রোল পাম্পের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এসময় অবরোধ তুলে নিতে বললে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

চালকদের অভিযোগ, জেলার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মৃদুল দাস দায়িত্বে আসার পর থেকেই ট্রাফিক পুলিশ জেলা শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে গাড়ি থামিয়ে নানা অজুহাতে একই গাড়ির বিরুদ্ধে মাসে ৩-৪ বার মামলা দিচ্ছেন। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সিএনজি চালকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এ অবস্থায় ঘন ঘন মামলা মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক নেতা বলেন, ট্রাফিক পুলিশ মামলা দিয়েই ক্ষ্যান্ত হন না, অনেক সময় তারা শ্রমিকদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন। বাবা-মাকে নিয়েও গালিগালাজ করেন। আজ বেলা ১১টার দিকে কুড়পাড় সিএনজি স্ট্যান্ডে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশ আকবর হোসেন মামলা দিলে শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। এসময় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মৃদুল রঞ্জন দাসের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন টেম্পু, অটোরিকশা ও সিএনজি চালকরা।

Netro-(2).jpg

কুরপাড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আকবর হোসেন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা আজ কুরপাড় এলাকায় তিনটি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেই। এসময় শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুটি গাড়ি জোর করে ছাড়িয়ে নেন। আমরা তাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানালে শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের সঙ্গে হাতাহাতি করেন।

জানতে চাইলে জেলা অটোটেম্পু, অটোরিকশা ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল শেখ বিল্লাল বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা পুলিশ-শ্রমিক ভাই ভাই। সবসময় মিলেমিশে থাকতে চাই।’

নেত্রকোনা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ হেলাল উদ্দিন শেখ বলেন, শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার করার অভিযোগ রয়েছে। শ্রমিকদের দাবি টিআইকে প্রত্যাহার করতে হবে। বিয়ষটি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলা হবে।

শ্রমিকদের হয়নানির বিষয়ে জানতে চেয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মৃদুল রঞ্জন দাসের ফোনে কল করে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শিবলী সাদিক কথা বলতে রাজি হননি। তবে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ লুৎফর রহমান বলেন, পুলিশের সঙ্গে সিএনজি শ্রমিকদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন।

এইচ এম কামাল/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।