চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক
চাঁদপুর-কক্সবাজার ট্রেন চালু হবে কি না এখনই বলা যাচ্ছে না
বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন, কবে থেকে চাঁদপুর-কক্সবাজার ট্রেন চালু হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে আমাদের কক্সবাজার স্টেশনের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। সেখানে কিছু ব্রিজ ও অবকাঠামোগত কাজ চলমান। সবকিছু শেষ হওয়ার পর আমরা আশাবাদী, শিগগির চাঁদপুর-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর রেলস্টেশনের অবকাঠামোসহ তিন নদীর মোহনার উন্নয়নকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মহাব্যবস্থাপক বলেন, ‘যাত্রীদের চাহিদার আলোকে আমরা ট্রেনের সময়সূচি নির্ধারণ করি। এটি আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে। ভবিষ্যতে এই রুট বর্ধিত করতে পারি। তবে দীর্ঘদিন যেহেতু চাঁদপুর-চট্টগ্রাম যাত্রী চলাচল করছে, সেখানে হুট করে চাঁদপুর থেকে কক্সবাজার ট্রেন চালু করলে চট্টগ্রামের যাত্রীদের আসন কীভাবে দেওয়া হবে? একটি নতুন রুট চালু করার জন্য নতুন ইঞ্জিন ও লোকোমাস্টারের প্রয়োজন আছে। এটির সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত আছে।’
তিনি বলেন, ‘রেলওয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে চাঁদপুরে আসা। এখানে আমাদের বেশকিছু উন্নয়নকাজ চলমান। সেগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। এখানে যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে পরবর্তী সময়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে পরিকল্পনাও করা হবে।’
‘চাঁদপুর-চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আরও আধুনিক করা হবে কি না’—এমন প্রশ্নের জবাবে মহাব্যবস্থাপক বলেন, ‘এই ট্রেনটিতে এখন যাত্রীদের কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। এটি আধুনিক করা হবে, তবে সময় লাগবে। কারণ পদ্মা সেতু নির্মাণের পরে লঞ্চে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা যাত্রী সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তা আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি। তবে আমরা সবসময় যাত্রীর চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি।’
রেলওয়ের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে এলে রেললাইনের পাশে থাকা শহরের বাণিজ্যিক এলাকাগুলোর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সরিয়ে ফেলা হয়। কর্মকর্তারা চলে গেলে আবারও বসানো হয়। এসব বিষয়ে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে রেললাইনে চাঁদপুরের দূরত্ব ১৬০ কিলোমিটার। সেখান থেকে এসে এসব অবৈধ স্থাপনা আমরা নিয়মিত তদারকি কিংবা উচ্ছেদ করতে পারবো না। এখানকার স্থানীয় প্রশাসন এবং সচেতন নাগরিকরা এগিয়ে না এলে আমাদের একার পক্ষে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তারপরও আমাদের পরিকল্পনা আছে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে রেলওয়ের সম্পত্তি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আনা। কোনোভাবেই অবৈধ দখলদারদের সুযোগ দেওয়া হবে না।’
রেলওয়ে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম, প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী, বিভাগীয় প্রকৌশলী (১) মো. হানিফ, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তারেক মো. ইমরান, সিনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ ও পূর্ত, লাকসাম) লিয়াকত আলী মজুমদার, রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের চিফ ইনচার্জ মো. সালামত উল্লাহ, চাঁদপুর স্টেশন মাস্টার (ভারপ্রাপ্ত) সোয়াইবুর শিকদার এসময় উপস্থিত ছিলেন।
শরীফুল ইসলাম/এসআর/এমএস