সিরাজগঞ্জ
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় মামলা, গ্রেফতার ১
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ফুলজোড় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ঠিকাদার, ড্রেজারের মালিক ও বালু বিক্রেতাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় ড্রেজার মালিক পরিমলকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার পরিমল একই উপজেলার কুটিরচর পশ্চিম পাড়া গ্রামের মোকবুল হোসেনের ছেলে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেলে কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ফুলজোড় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির অভিযোগে সোমবার (১১ মার্চ) রাতে ভদ্রঘাট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তারেক মুর্শেদ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আয়ান কনস্ট্রাকশনের ম্যানেজার ইউসুফ আলী (৩০), একই উপজেলার ড্রেজারের মালিক পরিমল (৫৫), মুগবেলাই গ্রামের বালু বিক্রেতা ঝন্টু সরকার (৫০), আসাদুল সরকার (৩৩), রকিব খান (৩২) ও রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা গ্রামের বাসিন্দা ড্রেজার মালিক বাবু সেখ (৫২)।
এর মধ্যে পরিমলকে গ্রেফতার করে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে৷ বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মামলার নথি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ঝাটিবেলাই মৌজার আরএস খাস খতিয়ানের ২০৪ নম্বর দাগের নদীর জায়গা থেকে বাংলা ড্রেজারের মাধ্যমে নদীর তলদেশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পাইপের মাধ্যমে মুগবেলাই গ্রামের আসলাম সরকারের জমিতে বালু ভরাট করা হচ্ছে। এর আগে একই ভাবে ওই গ্রামের গিয়াস উদ্দিন সরকারের জমিতেও বালু ভরাট করা হয়।
উত্তোলিত যে বালু ভরাট হয়েছে তাতে সরকারের ৭-৮ লাখ টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদী তারেক মুর্শেদ জাগো নিউজকে বলেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর আগে তাদের বালু উত্তোলন করতে নিষেধ করা হলেও তারা মানেননি।
এম এ মালেক/এনআইবি/জিকেএস