দাম বেশি পাওয়ায় আলু চাষীদের মুখে হাসি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁদপুর
প্রকাশিত: ১২:৩৮ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২৪

চাঁদপুরে আলুর ফলন তুলনামূলক কম হলেও প্রত্যাশিত দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। মাঠেই প্রত্যাশিত দাম পেয়ে খুশি আলু চাষিরা। আলু তুলেই লাভের মুখ দেখতে পাওয়ায় স্বস্তির ঢেকুর তুলছেন তারা।

যদিও মৌসুমের শুরুতে অনাকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি এবং ঘন কুয়াশায় চলতি মৌসুমে চাঁদপুরে আলুর কাঙ্ক্ষিত ফলন না পাওয়ার আশঙ্কা ছিল চাষীদের। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় ও বিরূপ আবহাওয়ার পাভাব পড়েছে চাঁদপুরে আলুতে। গতবছরের তুলনায় এ বছর আলুর দ্বিগুণ দাম। ফলন তুলনামূলক কম হলেও ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষক।

দাম বেশি পাওয়ায় আলু চাষীদের মুখে হাসি

জামালপুর থেকে আসা শ্রমিক আবু হোসেন জানান, এই সময়ে জামালপুরে কোনো কাজ নেই। প্রতি বছর এই সময়ে চাঁদপুরে আলু উঠানো হয়। আমরা ৩১ জন এসেছি কাজ করতে। এই বছর চাঁদপুর সফরমালী গ্রামে আলু চাষাবাদ কম হয়েছে। এরপরও দাম বেশি থাকায় কৃষক কিছুটা পোষাতে পেরেছে। আমরা ১৫-১৬ দিন কাজ করলে ১৮-২০ হাজার টাকা পাই। ঈদের আগে আবার বাড়ি ফিরে যাবো।

কৃষক শাহ জালাল বলেন, জমি থেকে আলু বাছাই করে ৫০ কেজি করে বস্তায় সংরক্ষণ করা হয়। গত বছর যেখানে একশ বস্তা আলু বিক্রি করেছি ৬৫-৭০ হাজার টাকায়। এবার দাম ভালো হওয়াতে জমিতেই একশ বস্তা আলু বিক্রি হচ্ছে এক লাক ১৫ হাজার টাকায়। দাম বেশি পাওয়ায় আমরা খুশি।

দাম বেশি পাওয়ায় আলু চাষীদের মুখে হাসি

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়াত আহম্মদ সিদ্দিকী বলেন, এ বছর আলুর প্রথম বীজতলা নষ্ট হওয়ায়় নতুন বীজতলা তৈরিতে বিলম্ব হয়েছে। চাঁদপুর জেলায় এ বছর সাড়ে সাত হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে সাত হাজার ১ হেক্টর জমিতে। এবার নির্ধারিত সময়ের পরও ফলন ভালো হয়েছে। আগামীতে আলু চাষাবাদ কৃষকদের আগ্রহী হলে লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে। বিশেষ করে জেলায় লক্ষমাত্রা অর্জনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ ও উন্নত জাতের বীজ দিয়ে সহায়তার করা হবে।

শরীফুল ইসলাম/এএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।