পটুয়াখালী-ঢাকা রুটে যাত্রীদের চাপ, ভোগান্তি
ঈদ ও পহেলা বৈশাখের টানা ছুটি শেষে পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। তবে বছরের অন্য সময়ের থেকে ঢাকামুখী বাসগুলোতে অধিক ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। পাশাপাশি বাস ভ্রমণে নানামুখী বিড়ম্বনার মুখেও পড়তে হচ্ছে।
পটুয়াখালীসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এক সময় লঞ্চে চলাচল করলেও পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর মানুষের চলাচলের প্রধান মাধ্যম এখন সড়কপথ। বছরের অন্য সময় এ রুটে বিভিন্ন বাস কোম্পানির দৈনিক ২০০-২৫০টি বাস চলাচল করলেও বর্তমানে ৩০০’র বেশি বাস চলাচল করছে। তবে এর পরও যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ সুযোগে অধিকাংশ বাসের ভাড়াই বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
সকালে পটুয়াখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, একের পর এক বাস আসছে। যাত্রী নিয়ে ঢাকা অভিমুখে ছুটে যাচ্ছে। ঠিক যেন কারও দম ফেলার সময় নেই। তবে অধিকাংশ বাসের টিকিট আগেই বিক্রি হয়েছে। এ কারণে এদিন অনেক যাত্রীকে বাসস্ট্যান্ডে এসে টিকিট না পেয়ে আবার ফিরে যেতে দেখা গেছে।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগে নন-এসি বাস ভাড়া ছিল সাড়ে ৬০০ টাকা। বর্তমানে নেওয়া হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকা। এসি বাসে এক হাজার টাকার ভাড়া ব্যক্তি ভেদে নেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা।
পটুয়াখালীর সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা আলম হোসেন জানান, ১২ তারিখ টিকিট কেটেছি। মঙ্গলবার সাড়ে ১২টায় বাস। তবে আগে সাড়ে ৬০০ টাকায় যাতায়াত করলেও ঈদের কারণে এখন তার কাছ থেকে ৮০০ টাকা রাখা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি গোলাম মাওলা দুলু মৃধা জানান, মালিক সমিতির পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। কোনো যাত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার কিংবা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে এমন অভিযোগ পেলে মালিক সমিতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
এদিকে বাস কোম্পানিগুলো যাত্রীদের সেবার কথা বললেও প্রকৃত পক্ষে কাঙ্ক্ষিতমানের সেবা থেকে যাত্রীরা বঞ্চিত। এরপরও বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরছেন সংশ্লিষ্ট বাস কোম্পানির প্রতিনিধিরা। তবে মাঝে মধ্যে বাসস্ট্যান্ডগুলোতে পুলিশ কিংবা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদারকির সময় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বাস্তবে বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী ভোগান্তি ও হয়রানির চিত্রই ফুটে ওঠে।
আব্দুস সালাম আরিফ/আরএইচ/এএসএম