তীব্র দাবদাহে পুড়ছে ঈশ্বরদী, তাপমাত্রা ৪১.৬ ডিগ্রি
পাবনার ঈশ্বরদীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিকেল ৩টায় ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি চলতি মৌসুমে ঈশ্বরদীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার সূত্রে জানা যায়, আটদিন ধরে ঈশ্বরদীতে তীব্র ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। ১৩ এপ্রিল তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫, ১৪ এপ্রিল ৩৯ ডিগ্রী, ১৫ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৫, ১৬ এপ্রিল ৩৯.৮, ১৭ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৫, ১৮ এপ্রিল ৩৯ ও ১৯ এপ্রিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে, বৈশাখের টানা দাবদাহে ঈশ্বরদীর জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। প্রয়োজন ছাড়া কোন মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। তীব্র তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে দিনমজুর শ্রেণীর মানুষ।
উপজেলার সলিমপুরের জয়নগর মোড়ে রিকশা চালক আব্দুল হামিদ জাগো নিউজকে বলেন, পিচঢালা রাস্তায় রিকশা চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সড়কের উত্তাপে চোখ মুখ জ্বলে যাচ্ছে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে ধূলাবালু। নিরূপায় হয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। বাড়িতে ডাল-ভাতের ব্যবস্থা থাকলে, এই গরমে রিকশা চালাতাম না।
স্টেশন রোডের ফকিরের বটতলা মোড়ের শরবত বিক্রেতা পান্না বলেন, ৭/৮ ধরে প্রচন্ড গরমের কারণে শরবত বিক্রি বেড়েছে। গরমে একটু স্বস্তি পেতে রিকশা চালক, অটোচালক ও পথচারীরা শরবত পান করছেন।
উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলের চরকুড়লিয়া গ্রামের মহিষের বাথানের রাখাল আব্দুল আলিম বলেন, পদ্মার চরে গরমের তীব্রতা খুব বেশি। চারদিক শুধু বালু আর বালু। বালুর উষ্ণতায় এভাবে থাকা মুশকিল হয়ে গেছে। আমাদের বাথানের মহিষ তীব্র গরমের কারণে চরে ঘাস খেতে যেতে চায় না। তারা দীর্ঘসময় নদীতে থাকছে। তাদের নদী থেকে ওঠানো যাচ্ছে না।
উপজেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণার অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, ঈশ্বরদীতে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজমান। আগামী দুই একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমার কোন সম্ভাবনা নেই।
শেখ মহসীন/এনআইবি/জেআইএম