সুনামগঞ্জে ধান-চাল কেনা কার্যক্রম শুরু
সুনামগঞ্জে কৃষকদের কাছ থেকে সরকারিভাবে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
পরে দুই কৃষকের কাছ থেকে ৬ মেট্রিকটন ধান কিনে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক।তবে নানা হয়রানির শিকার হওয়ায় সরকারি গুদামে ধান দিতে আগ্রহ কম কৃষকদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে হাসি ফুটেছে এ অঞ্চলের কৃষকদের মুখে। এবছর জেলায় ধানের উৎপাদন বাড়লেও সরকার নামমাত্র লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ২ শতাংশ ধান কিনছে।
জাওয়ার হাওরের কৃষক আমির হোসেন। অনেক পরিশ্রম করে তিনি মাথার ঘাম পায়ে ফেলে প্রায় ৭০ মন ধান উৎপাদন করেছেন। তবে সেই ধানগুলো তিনি বিভিন্ন ফরিয়া ও ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন।

শুধু আমির হোসেন নয় একই অবস্থা সুনামগঞ্জের অন্যান্য কৃষকদেরও। এ জেলার সদর, শান্তিগঞ্জ দোয়ারাবাজারসহ সাত উপজেলা থেকে ৬ লাখ কৃষক ৮ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদন করেছেন। কিন্তু সেই ধান সরকারের গোদামে বিক্রি করার জন্য কৃষক অ্যাপস দিয়ে অনলাইনে আবেদন করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ১০ হাজার ৩৩১ জন ধান বিক্রি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর সুনামগঞ্জের ১১ উপজেলা থেকে সরকার ২৯ হাজার ৮১১ মেট্রিকটন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সেই সঙ্গে মিলারদের কাছ থেকে ৯ হাজার ৬৮৪ মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল ও ৯ হাজার ৯৫৪ মেট্রিকটন আতপ চাল সংগ্রহ করার কথা রয়েছে। কিন্তু ২০২৩ সালে এ জেলার কৃষকদের কাছ থেকে ১৭ হাজার ৪৮৩ মেট্রিকটন ধান কেনার কথা থাকলেও সরকার মাত্র ১৫ হাজার ৫৫৪ মেট্রিকটন ধান কিনতে সক্ষম হন।
তবে সুনামগঞ্জ জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম ভূঞা বলেন, চলতি মৌসুমে ধানের দাম বাড়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জে দুই লাখ ২৩ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে বোর চাষাবাদ হয়েছি। যেখান থেকে এবছর ১৩ লাখ ৭০ হাজার ২০২ মেট্রিকটন ধান উৎপাদিত হয়েছে। যার বাজারমূল্য চার হাজার একশ দশ কোটি টাকা।
লিপসন আহমেদ/আরএইচ/এএসএম