রাখাইনে কমেছে গোলাগুলি, থেমেছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৮:০৭ পিএম, ১৫ জুন ২০২৪
ফাইল ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতের গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ থেমে গেছে। তবে, মিয়ানমার জলসীমায় অবস্থান করা দেশটির নৌবাহিনীর তিনটি যুদ্ধজাহাজ এখনো সরেনি।

শনিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত মিয়ানমার নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ তিনটি নোঙর করে সাগরে অবস্থান করার চিত্র সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটিঘাট থেকে দেখা গেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান ও জেলা প্রশাসনের আওতায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিচ কর্মীদের সুপারভাইজার জয়নাল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জয়নাল আবেদীন জানান, তিনদিন ধরে সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে দিনে-রাতে একটানা তিনদিন বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির বিকট শব্দ এপারে থেমে থেমে ভেসে আসছিল। এমন ঘটনায় দ্বীপজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিকট শব্দে রাতে মানুষ ঘুমাতেও পারেনি। তবে শুক্র ও শনিবার রাত থেকে বিস্ফোরণের শব্দ এপারে শোনা যায়নি।

তিনি আরও জানান, মিয়ানমারের জলসীমায় তাদের যুদ্ধজাহাজ আসা-যাওয়া করলেও এবার আসা মিয়ানমারের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ তিনটি জেটিঘাট থেকে আগের তুলনায় খুব কাছে দেখা যাচ্ছে। জাহাজ তিনটি সাগরে মিয়ানমার জলসীমায় এখনো নোঙর করে অবস্থান করছে।

আরও পড়ুন

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে গোলাগুলির আওয়াজ কমেছে। আমাদের জলসীমা দিয়ে সেন্টমার্টিন-টেকনাফগামী ট্রলারে তিনবার গুলিবর্ষণের পর বন্ধ হওয়া নৌযান এখনো সচল হয়নি। তবে দ্বীপের খাদ্য সংকট দূর করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাহাজে করে খাদ্যপণ্য পৌঁছানো হয়েছে। জাহাজটি শুক্রবার (১৪ জুন) রাতে সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে পৌঁছে।

তিনি আরও জানান, গত তিনদিন ধরে সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির ঘটনায় নতুন করে সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। মিয়ানমার জলসীমায় আসা দেশটির তিনটি যুদ্ধজাহাজ থেকেও ছোড়া হয়েছিল গুলি। তবে এখন বিস্ফোরণের শব্দ থেমেছে। কিন্তু মিয়ানমারের জলসীমায় তাদের যুদ্ধজাহাজ তিনটি সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে শনিবার বিকেলেও দেখা গেছে।

শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটের বাসিন্দা আমান উল্লাহ বলেন, রাখাইন সীমান্ত থেকে গত তিনদিন গোলাগুলির ঘটনায় এপারের শাহপরীর দ্বীপ কাপঁছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখা যাচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরের সংঘাত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সার্ভিস ট্রলারগুলো বিকল্প পথে সেন্টমার্টিন যাতায়াত করার সিদ্ধান্ত দেওয়া আছে। কক্সবাজার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জাহাজে করে খাদ্যপণ্য পাঠানো হয়েছে। ওই জাহাজে করে দ্বীপের বাসিন্দারা আসা-যাওয়া করছেন।

তিনি আরও জানান, গত তিনদিন ধরে সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির ঘটনায় নতুন করে সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। মিয়ানমার জলসীমায় আসা দেশটির তিনটি যুদ্ধজাহাজ থেকেও ছোড়া হয়েছিল গুলি। তবে এখন বিস্ফোরণের শব্দ থেমেছে। কিন্তু মিয়ানমারের জলসীমায় তাদের যুদ্ধজাহাজ তিনটি সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে শনিবার বিকেলেও দেখা গেছে।

শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটের বাসিন্দা আমান উল্লাহ বলেন, রাখাইন সীমান্ত থেকে গত তিনদিন গোলাগুলির ঘটনায় এপারের শাহপরীর দ্বীপ কাপঁছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখা যাচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরের সংঘাত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সার্ভিস ট্রলারগুলো বিকল্প পথে সেন্টমার্টিন যাতায়াত করার সিদ্ধান্ত দেওয়া আছে। কক্সবাজার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জাহাজে করে খাদ্যপণ্য পাঠানো হয়েছে। ওই জাহাজে করে দ্বীপের বাসিন্দারা আসা-যাওয়া করছেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারের জলসীমায় তাদের যুদ্ধজাহাজ অবস্থান করলে আমাদের উৎকণ্ঠিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা এপারে সতর্ক রয়েছি। গতকাল যাওয়া জাহাজ ‘বারো আউলিয়া’ কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ মুভ করা কষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উত্তালতার কারণে দুর্ঘটনার ভয়ে সার্ভিস বোটগুলো ছাড়ছে না।’

একাধিক সূত্র জানায়, গত ৩ মার্চ থেকে রাখাইন দখল নিয়ে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) ও অন্য বিদ্রোহী গ্রুপের যুদ্ধ চলছে। সম্প্রতি মংডু টাউনশিপের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দুটি শহরসহ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪টি সীমান্তচৌকি, রাচিডং-বুচিডং টাউনশিপের বেশ কয়েকটি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এখন সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপের ওপারের মংডুর সীমান্তের মিয়ানমার সেনাঘাটি ও বিজিপির চৌকি দখলে আরাকান আর্মি এ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।