গাইবান্ধা
নদ-নদীর পানি কমছে, বাড়ছে ভাঙন
গাইবান্ধার সব নদ-নদীর পানির কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে এ এলাকায় নদীভাঙন দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। এতে কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হুমকির মুখে পড়েছে কয়েকশ’ বসতভিটাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ১৩৭ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদের পানি শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১৬৫ সেন্টিমিটার ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ১৪০ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বেশ কয়েকদিন ধরে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদের ভাঙনে জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলার বেশকিছু এলাকায় নদীভাঙনে বসতভিটাসহ ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা ফজলুপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শাহিন আলম বলেন, নদী ভাঙনের কবলে ১০-১৫টি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন থেকে বাঁচতে আর ২০টির ওপরে বাড়িঘর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভাঙন রোধে কেউই কোনো কাজ করছে না।

গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জাগো নিউজকে বলেন, সব কয়টি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু এলাকায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। সেগুলো নিয়ে কাজ করা জন্য পরিকল্পনা করছি।
আরএইচ/এএসএম