গাজীপুরে পোশাক কারখানায় ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য
কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতা হয়। এ অবস্থায় সারাদেশে জারি হয় কারফিউ। একই সঙ্গে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। ফলে গাজীপুরের পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
অবশেষ টানা তিনদিন বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে পোশাক কারখানা খুলতে শুরু করে। ফলে শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে কারখানায়।
গাজীপুর মিমি ডিজাইনের পোশাক শ্রমিক শাহিনা আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার কারখানা আমাদের বেতন দেয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা এলেও শনিবার থেকে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় টাকা তুলতে পারিনি। এজন্য নিজের খাওয়ার টাকাও ছিল না, বাসা ভাড়াও দিতে পারি নাই। এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি হওয়ায় আশা করছি অর্থকষ্ট দূর হবে।
আলেমা টেক্সটাইলের শ্রমিক ইমরান হোসেন বলেন, বাসায় ইন্টারনেট না থাকায় তিনদিন অলস সময় পার করেছি। শুয়ে-বসে থাকতে থাকতে অসহ্য লাগছিল। আজ কারখানা খোলায় ভালো লাগছে।
গাজীপুরে প্রিন্ট নেটওয়ার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাসান সোহেল বলেন, বুধবার সকালে কারখানা খুললেও হাতে তেমন কাজ নেই। নতুন কোনো অর্ডারও নেই। নতুন অর্ডার পাওয়ার পর স্বাভাবিক উৎপাদনে যেতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে।
তিনি আরও বলেন, করোনার সময় সারা বিশ্বে দুর্যোগ ছিল। এর প্রভাব পড়েছে। এবার বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অনেক অর্ডার বাতিল হয়ে গেছে। কারো সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারিনি।
মো. আমিনুল ইসলাম/জেডএইচ/জিকেএস