ঝালকাঠির শতবর্ষী স্কুলটির বেহাল দশা


প্রকাশিত: ০৫:১৯ এএম, ১০ মে ২০১৬

ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (বালক বিদ্যালয়) ভবন নির্মাণের পর শতবর্ষ অতিবাহিত হওয়ায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন কম বেশি পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। সোমবার বেলা ১১ টায় প্রভাতি শাখার ছুটির সময় এক ছাত্রের দেহে পলেস্তরা খসে পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, ১৯০৯ সালে ঝালকাঠি সরকারি বালক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সময় তৈরি নতুন ভবনে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। ভবন নির্মাণ শতবর্ষ অতিবাহিত হতে না হতেই বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়। খসে পড়তে শুরু করে পলেস্তরা। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে বরিশাল থেকে প্রকৌশলবিদরা এসে বিদ্যালয় ভবনের রুমগুলোতে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালায়। এতে ৪টি রুমকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে তালাবদ্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।

Jhalktathi

আরও জানা গেছে, যে ৪টি রুম প্রকৌশলীরা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তালাবদ্ধ করে রেখেছে তার চেয়ে আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলছে। তাছাড়া স্কুল ভবনের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ফাটল রয়েছে। আমরা সব সময়ই আতঙ্কে থাকি কখন কি যে দুর্ঘটনা ঘটে। সোমবার প্রভাতি শাখার ছুটির সময় একজন ছাত্র স্কুলের পেছন দিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় স্কুলের পেছনের ছাদের পলেস্তরা খসে ছাত্রটির স্কুল ব্যাগের উপরে পড়লে ছাত্রটি দৌড় দেয়। ইতোমধ্যে বড় এক চাকা পলেস্তরা খসে পড়ে। প্রাথমিক খসে পড়া পলেস্তরাই যদি স্কুল ব্যাগে না পড়ে মাথায় পরতো তাহলেই বড় দুর্ঘটনার শিকার হতাম সবাই।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, অনেক আগ থেকেই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারি একটি বরাদ্দ আছে যেটি দিয়ে বহুতল ভবনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেটি কবে বাস্তবায়ন হবে আমরা তার অপেক্ষায় আছি। তার আগে দুর্ঘটনা এড়াতে কয়েক বছর আগে নির্মিত ল্যাবরেটরি ভবনে শিক্ষাদান কার্যক্রমের জন্য স্থানান্তর করার চিন্তা করেছি। আর পুরাতন ভবনে প্রশাসনিক ও ল্যাবরেটরির কাজ চলবে।

এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।