কুষ্টিয়া

দেড়শ বছরের পুরোনো স্টেশনে নেই আধুনিকতার ছোঁয়া

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ০৭:৫৩ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

১৫৪ বছরেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে। পুরোনো জরাজীর্ণ এ স্টেশনে ব্যবহারের অনুপযোগী যাত্রীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা। প্লাটফর্মও ট্রেনের চেয়ে দৈর্ঘ্যে কম। এতে দুর্ঘটনাসহ নিয়মিত নানা ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি কুষ্টিয়া থেকে গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন উদ্বোধন হয়। সে সময় কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনের যাত্রা শুরু হয়। পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে বহুগুণে ব্যস্ততা বেড়েছে এ স্টেশনের। মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টায় একাধিক ট্রেন কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় যাচ্ছে। এতে লোক সমাগম বেড়েছে কয়েকগুণ।

দেড়শ বছরের পুরোনো স্টেশনে নেই আধুনিকতার ছোঁয়া

যাত্রীরা অভিযোগ করেন, আশপাশের জেলার রেলস্টেশন অনেক উন্নত। কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না প্রাচীন এ স্টেশনটি। দীর্ঘদিন একটি আধুনিক স্টেশন নির্মাণের দাবি কুষ্টিয়াবাসীর।

জাহাঙ্গীর আলম নামের এক যাত্রী বলেন, প্লাটফর্ম নিচু হওয়ায় পরিবার নিয়ে এ স্টেশনে নামা কষ্টকর। তাছাড়া স্টেশনে নামার জন্য সময়ও কম পাওয়া যায়। এভাবে হুড়োহুড়ি করে নামতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটাই স্বাভাবিক।

দেড়শ বছরের পুরোনো স্টেশনে নেই আধুনিকতার ছোঁয়া

তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের বিশ্রামাগারটি ব্যবহারের অনুপযোগী। স্টেশনে বসা বা বিশ্রামের জায়গা না থাকায় দাঁড়িয়ে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

ভোগান্তির কথা স্বীকার করে রেলওয়ের রাজবাড়ীর সহকারী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন, প্লাটফর্মের দৈর্ঘ্য ছোট, উচ্চতাও কম। যাত্রীদের ওঠানামা করতে কষ্ট হয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে প্লাটফর্মের উন্নয়নে ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

দেড়শ বছরের পুরোনো স্টেশনে নেই আধুনিকতার ছোঁয়া

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান বলেন, স্টেশনের উন্নয়ন রেল মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। তারপরও এখানে যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানিয়েছি। আশা করছি, এ স্টেশনের ভোগান্তির বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে আসবে।

আল-মামুন সাগর/আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।