থানার দাবিতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ১১:১৬ এএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাকে কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ায় স্থানান্তরের দাবিতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন। এতে সড়কের দুই পাশে অন্তত ১৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বেলা ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা ঝাউদিয়ায় স্থানান্তরের বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঝাউদিয়া থানা উদ্বোধন না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

থানার দাবিতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ

ঝাউদিয়া বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার বিশ্বাস বলেন, ছয়টি ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র ঝাউদিয়া। এখানে থানা স্থাপন না হওয়ায় চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই এমনকি হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত।

কুষ্টিয়া থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে যাওয়া কাভার্ডভ্যান চালক আব্দুল হাকিম বলেন, এক ঘণ্টার বেশি সময় হলো দাঁড়িয়ে আছি। এভাবে আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হবে জানি না। আন্দোলনের কারণে শত শত যাত্রীবাহী বাস আটকে আছে।

ঝাউদিয়া থানা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহরিয়া ইমন রুবেল বলেন, ঝাউদিয়া থানা স্থাপনের সব বিষয় নির্ধারণ হওয়ার পরও পুলিশ সুপার দিনের পর দিন বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখছেন। আজকের আন্দোলনের দায় তাদেরকেই নিতে হবে।

থানার দাবিতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ

মনোহরদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঝাউদিয়া থানা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. হায়াত আলী বলেন, ইবি থানার ওসি এরইমধ্যে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। তাকে বলেছি কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারকে এখানে আসতে হবে। উনি কবে থানা উদ্বোধন করবেন সেই সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর আন্দোলন স্থগিত করব।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, থানা স্থানান্তরের জন্য বেশ কিছু প্রক্রিয়া আছে। এর মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণের ব্যাপারও রয়েছে। রাতারাতি সবকিছু করা সম্ভব হয় না। এর জন্য সময় প্রয়োজন।

আল-মামুন সাগর/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।