সরবরাহ কমের অজুহাতে বেড়েছে তরমুজের দাম
পবিত্র রমজানে চাহিদা থাকায় বিগত কয়েকবছর ধরে বেশ আগে আগেই বাজারে চলে আসছে তরমুজ। ফলে সাধারণত মূল মৌসুমে বাজারে তরমুজের সরবারহ কমে আসে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এখন পাইকারি ও খুচরা- দুই বাজারেই বেড়েছে রসালো এ ফলের দাম।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে আকারভেদে প্রতি ১০০ পিস তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায়। খুচরা বাজারে আকার ও ধরনভেদে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬০ টাকায়।
কেজির হিসাব ছাড়াও পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। যদিও এসব তরমুজ কেজি দরে আগেই মেপে রাখা। পিস হিসেবে বাজারে মাঝারি আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। এছাড়া ১০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে ছোট আকারের তরমুজ মিলছে।

বিক্রেতাদের দাবি, মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম। এ কারণেই দাম বাড়তি।
আরও পড়ুন
কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শাহ আলম জাগো নিউজকে বলেন, বাজারে তরমুজ কমে আসছে। তাই দাম বাড়ছে। আগামী এক সপ্তাহ পর দাম আরও বাড়বে। দোকানদার (বিক্রেতা) কমে যাবে, আড়তেও তরমুজের সংকট হবে। তাই এখন দাম একটু বেশি।

তরমুজের আড়তদার হানিফ চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, পটুয়াখালীর তরমুজ প্রায় শেষ। খুলনার তরমুজ আসছে, তবে ঈদের সময় থেকে দাম বাড়তি। এখন গরমও পড়ছে বেশি, তরমুজ নষ্টও হয় অনেক। মাঝারি আকারের তরমুজ এখন প্রতি ১০০টি ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এ ধরনের তরমুজ বেচাকেনা বেশি চলে।
নাজির হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, এখন রমজান না, তবুও তরমুজের দাম কমছে না। ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার নিচে ভালো মানের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে না। মোটামুটি বড় তরমুজ ধরতে গেলে ৪০০ টাকার ওপরে দাম।
আরএএস/কেএসআর/এমএস