মার্কিন শুল্ক কমায় বাজার হারানোর শঙ্কা দূর হয়েছে: শামীম আহমেদ
বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি শামীম আহমেদ বলেছেন, শুল্ক কমায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের প্লাস্টিক রপ্তানির বাজার হারানোর শঙ্কা কেটে গেছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্লাস্টিক রপ্তানিকারক প্রতিযোগী দেশগুলোর শুল্ক কাছাকাছি, অনেক ক্ষেত্রে বেশি থাকার কারণে আমরা রপ্তানিতে এখন সুবিধা পাবো। যেমন আমাদের অন্যতম প্রতিযোগী ভারতের শুল্ক আমাদের চেয়ে বেশি দিতে হবে, সেখানে আমরা এগিয়ে যাবো। চীনের সঙ্গেও সুবিধা পাবো।
তৃতীয় দফার আলোচনা শেষে ১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি জাগো নিউজকে এসব কথা বলেন।
- আরও পড়ুন
- ১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ
- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি উল্লেখযোগ্য বিজয়
শামীম আহমেদ বলেন, শুল্ক কমানোর ফলে এখন প্লাস্টিক রপ্তানির প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হবে। অন্যান্য দেশের বড় বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশ করা হয়তো সুবিধা হবে।
শুল্ক আলোচনায় নিজেদের শক্ত অবস্থানের জন্য বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বে সফলভাবে পারস্পরিক শুল্ক আলোচনার সমাপ্তি হয়েছে। তাদের যোগ্যতায় আমরা অনুকূল শর্ত অর্জন করেছি।
তিনি বলেন, এটি কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমাদের পণ্য বিক্রি করার বিষয় নয়, এটি এমন একটি আলোচনা- যা প্রমাণ করে যে আমাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য ও সামগ্রী কেনার সক্ষমতা আছে। এটি বৈশ্বিক অঙ্গনে আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা এবং অর্থনৈতিক কূটনীতি প্রদর্শন করে।
প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের দ্বিতীয় শীর্ষ বাজার। প্রথম স্থানে রয়েছে ভারত, অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ভারতে ৫ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি হয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ ডলারের প্লাস্টিক পণ্য, যা এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ৪২ শতাংশ বেশি।
এনএইচ/কেএসআর/এএসএম