পতনের বৃত্তে পুঁজিবাজার
রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনির্দিষ্টকালের অবরোধ আর গত এক সপ্তাহ টানা হরতালের দেশের উভয় পুঁজিবাজারে কমেছে লেনদেন ও বাজার মূলধন। পতন হয়েছে সব ধরণের সূচকেও। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে ১ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং প্রধান সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ। ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৭১ কোটি ৪১ লাখ ৪৮ হাজার ৬০৩ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৮৫ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার ৩১৬ টাকার শেয়ার। এ সেই হিসেবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৩ কোটি ৮১ লাখ ৪ হাজার ৭১৩ টাকা।
আলোচিত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দুই কার্যদিবসই মূল্য সূচক কমেছে। বাকি তিন কার্যদিবস সূচক বেড়েছে। সপ্তাহে ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৩ শতাংশ।
ডিএস৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৮৩ শতাংশ বা ১৪ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট। শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ৫ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মোট ৩২০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৪টির, কমেছে ২০৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২১টি কোম্পানির শেয়ারের দর। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার।
আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে দশমিক ৫০ শতাংশ। বর্তমানে পিই রেশিও ১৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। বাজার মূলধন কমেছে দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)লেনদেন কমেছে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ২৪১ টাকা। আলোচিত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৯ কোটি ৫৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬১ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১০২ কোটি ৪২ লাখ ২৩ হাজার ৬০২ টাকার শেয়ার।
আলোচিত সপ্তাহে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৫টির, কমেছে ১৭১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির।
সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই কমেছে শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ।
এসআই/এএইচ/পিআর