সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে!


প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়ে গেছে। এতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তথ্য বলছে, গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ৩০০টির বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জমা পড়েছে। যেখানে সাধারণত মাসে গড়ে ৫০টি সন্দেহজনক লেনদেনের ঘটনা ধরা পড়ে।

রোববার মুদ্রা পাচার, সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও চোরাচালান প্রতিরোধ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা শাখার (বিএফআইইউ) উপপ্রধান মাহফুজুর রহমান।

বিএফআইইউ মুদ্রা পাচার, সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে আর্থিক লেনদেনের মনিটরিং করে থাকে। বিএফআইইউর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ৬১৯টি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য দেয়।

মাহফুজুর রহমান বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে রিপোর্টিং এজেন্সিগুলো সচেতন হয়েছে। এ কারণে সন্দেহজনক রিপোর্টের সংখ্যা বেড়েছে বলে ধারণা করছি।”

ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানি, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে নিবন্ধিত সব প্রতিষ্ঠান, এনজিও ও মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বিএফআইইউকে সন্দেহজনক লেনদেনের রিপোর্ট দিয়ে থাকে। তবে ব্যাংকিং খাত থেকে সবচেয়ে বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য এসেছে বলে জানান বিএফআইইউ উপ-প্রধান।

এসব রিপোর্ট বিশ্লেষণের পাশাপাশি ২০ দলের নেতৃত্বে চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেশের যেসব এলাকায় বেশি বেশি সহিংসতা হয়েছে বা হচ্ছে ওইসব এলাকার ব্যাংকগুলোর দৈনন্দিন লেনদেন পর্যবেক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাস্কফোর্স।

মাহফুজুর আরো বলেন, এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করে বলা হয়েছে যে, চলমান সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অর্থায়ন করার ক্ষেত্রে যেন কোনো পক্ষ ব্যাংকিং বা আর্থিক ব্যবস্থা ব্যবহার করতে না পারে।

এসএ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।