এসএমই খাতে প্রযুক্তি স্থানান্তরে সম্মত কানাডা
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্থানান্তরে সম্মত হয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনওয়া পিয়ের লাঘামে। সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে কানাডিয়ান হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এ কথা জানান। শিল্পমন্ত্রী বলেন, কানাডিয়ান হাইকমিশনার বাংলাদেশে ইন্ডাস্ট্রি স্থাপন, বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা ও আইনি কাঠামো সম্পর্কে জানতে চান।
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে চমৎকার বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে উদারনীতি গ্রহণ করেছে। ফলে জাপান, কোরিয়া, চীন ও ভারত বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সুবিধা চেয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। কানাডিয়ান উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের আগ্রহ দেখালে তাদের বিষয়টিও জাতীয় স্বার্থ ও সরকারের উদার বিনিয়োগনীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বিবেচনা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্প দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ইউরোপের দেশগুলোতে জাহাজ রফতানি করেছে। তিনি জাহাজ নির্মাণখাতে যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে কানাডার উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশে সিরামিক, ওষুধ, চামড়াসহ সম্ভাবনাময় শিল্পখাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে তিনি কানাডিয়ান হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এসময় হাইকমিশনার জানান, কানাডায় শিল্প কারখানার শতকরা ৯০ ভাগ এসএমইখাতের আওতাভূক্ত। উচ্চ প্রযুক্তির ফলে এসএমইখাতে মূল্য সংযোজনের পরিমাণ অনেক বেশি। এসএমইখাতের কানাডিয়ান প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা লাভবান হতে পারে। তিনি বাংলাদেশের জনবলের দক্ষতা, সৃজনশীল শক্তি ও কাজের প্রতি গভীর আগ্রহের প্রশংসা করেন।
বৈঠকে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কেএম হাবিব উলাহ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাস এবং বেগম আফরোজা খানসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও কানাডিয়ান দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/বিএ/আরআইপি