এফবিসিসিআই ডাকলেও আসেননি মুরগি ব্যবসায়ীরা

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভা’ ডেকেছিল ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এফবিসিসিআই বোর্ডরুমে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত সভায় সব পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা এলেও আসেননি মুরগি ব্যবসায়ীরা বা তাদের কোনো প্রতিনিধি।
সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, কয়েক দিন ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম অনেক বেড়েছে। আমরা আজ এ নিয়ে মুরগি ব্যবসায়ীদের ডেকেছিলাম, তারা আসেননি। এর আগে দাম বাড়লো। তখন ধর-পাকড় করা হলে দাম কমে আসে। এখন রমজানকে সামনে রেখে আবার মুরগির দাম বাড়ানো হলো কেনো? এভাবে সমাধান আসবে না। আমরা সরকারের কাছে আমদানি উন্মুক্ত করে দিতে বলবো। আগামী দু-তিন মাস আমদানি করা হোক। এছাড়া আর আমরা কোনো পথ দেখছি না।
এফবিসিসিআইয়ের আরেকজন পরিচালক জানান, দুপুর দেড়টায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে ডাকা হয়েছে মুরগি ব্যবসায়ী চারটি বড় কোম্পানিকে। এ কারণে হয়তো তারা এখানে আসেননি।
তবে এফবিসিসিআইয়ের সভায় মুরগি ব্যবসায়ীদের কোনো প্রতিনিধিকেও দেখা যায়নি।
এফবিসিসিআই সভাপতি ব্যবসায়ীদের বলেন, এবার সরকার বাজার মনিটরিংয়ে থাকবে কঠোরভাবে। কোনো বাজারে বেশি মূল্য রাখা হলেই কিন্তু বাজার কমিটি বাতিল করবে সরকার। একই সঙ্গে দাম বেশি নেওয়া প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হবে। আমরা চাই না, রোজায় কোনো ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল হোক, কাউকে আটক করা হোক।
আরও পড়ুন: মুরগির কেজিতে উৎপাদন খরচ ১৬০, বিক্রি ২৫০ টাকা
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের সমস্যা থাকতে পারে। সমস্যাটি আমাদের জানাবেন। আমাদের সেলে জানান, আমরা কথা বলবো। আমাদের টিমও বাজার মনিটরিংয়ে থাকবে। আশা করবো আপনারা কেউ বেশি মুনাফা করবেন না। বাজারে চাহিদার তুলনায় বেশি খেজুর আছে। পর্যাপ্ত রয়েছে ছোলা, পামঅয়েল, সয়াবিনসহ অন্যান্য পণ্য।
সভায় সিটি গ্রুপের প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ বলেন, আমাদের কাছে চিনি-ভোজ্যতেলের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে রোজায় কোনো পণ্যের ঘাটতি হবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতিসহ রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা।
ইএআর/এমএইচআর/এএসএম