ডিজিটাল ব্যাংকের আবেদনে সময় বাড়লো

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২৩ পিএম, ৩০ জুলাই ২০২৩

ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহীদের কাছ থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্তির আবেদন নেওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে। রোববার (৩০ জুলাই) অনলাইন মাধ্যমে আগামী ১৭ আগস্ট পর্যন্ত আবেদনের সময় বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কাগুজে নথি জমা দিয়ে নয়, ডিজিটাল পদ্ধতিতেই ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থাৎ সব নথি ডিজিটাল মাধ্যমে জমা দিতে হবে। ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সপ্রাপ্তির আবেদনের লক্ষ্যে আবেদনকারীর পূর্ণাঙ্গ ও মানসম্মত প্রস্তাবনা তৈরি এবং বিভিন্ন দলিলাদি সংগ্রহের বিষয়টি বিবেচনা করে আবেদনপত্র দাখিল করা যাবে। এ লক্ষ্যে আবদেন দাখিলের সময় আগামী ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের বিষয় পরীক্ষা করা হবে

গত জুনে বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন আহ্বান করেছিল। অনলাইনে আবেদন জমা নেওয়ার জন্য ওয়েবসাইটে আলাদা পেজ খোলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগ্রহীরা সেখান থেকে আবেদন জমা দিতে পারছেন। তবে আবেদন ফি বাবদ বাংলাদেশ ব্যাংককে অফেরতযোগ্য ৫ লাখ টাকা জমা দিতে হবে।

প্রতিটি ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে ন্যূনতম মূলধন লাগবে ১২৫ কোটি টাকা। প্রচলিত ধারার ব্যাংক করতে যেখানে প্রয়োজন হয় ৫০০ কোটি টাকা, সেখানে ডিজিটাল ব্যাংকের প্রত্যেক উদ্যোক্তাকে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে।

লাইসেন্স দেওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে ডিজিটাল ব্যাংককে দেশের পুঁজিবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার ছাড়তে হবে। ব্যাংক স্থাপনে উদ্যোক্তাদের অর্ধেককে হতে হবে প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং, উদীয়মান প্রযুক্তি, সাইবার আইন ও বিধিবিধান বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। বাকি অর্ধেক হতে হবে ব্যাংকিং, ই-কমার্স এবং ব্যাংকিং আইন ও বিধিবিধান বিষয়ে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। ডিজিটাল ব্যাংককে কোম্পানি আইন অনুযায়ী প্রচলিত ব্যাংকের মতো সময়ে সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ন্যূনতম নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) বজায় রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণের তহবিল বাড়ালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

তবে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা তার পরিবারের কোনো সদস্য ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ কতজন পরিচালক হবেন, তা ঠিক হবে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী। ডিজিটাল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) ব্যাংকিং পেশায় কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

ডিজিটাল ব্যাংক ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড ও অন্য কোনো উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য দিতে পারবে। লেনদেনে কোনো প্লাস্টিক কার্ড হবে না, এই ব্যাংকের সেবা নিতে গ্রাহকরা অন্য ব্যাংকের এটিএম, এজেন্টসহ নানা সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। ডিজিটাল ব্যাংকে এলসি খোলা যাবে না। বড় ও মাঝারি শিল্পে কোনো ঋণ দিতে না পারলেও ছোট ঋণ দিতে পারবে।

ইএআর/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।